তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ

আপডেট: ২০২৪-১১-১৯ ১৭:০৮:৩১


গত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৮২ টিইইউ’স। যা বিগত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৬ হাজার ৯৮৬ টিইইউ’স বেশি। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে প্রায় ১০ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ২০০৪ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে পড়ে থাকা পুরোনো নয় হাজার কন্টেইনার ধ্বংস/ নিষ্পত্তির কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা আইসিডিগামী কন্টেইনার পরিবহন সহজীকরণ করা হয়েছে এবং ঢাকা আইসিটি পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও আয়ের বন্টনের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করা হয়েছে। নদী পথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) হতে পণ্য/ কন্টেইনার পরিবহনের জন্য উক্ত আইসিটির সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ইতিপূর্বে পাকিস্তানের সাথে সিঙ্গাপুর এবং কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হতো। নতুন এই রুটটি চালু হওয়ার কারণে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। এতে করে সাশ্রয়ী ব্যয় এবং সময়ে উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে নতুনভাবে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, সরকারি পত্র ও নথি আদান প্রদান সহজে ও দ্রুত সম্পাদনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের শতকরা ৮০ ভাগ কাজ ডি-নথি পদ্ধতিতে সম্পাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডি-নথির উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকারি ক্রয় সম্পাদনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সকল ক্রয় কাজ (ই-জিপি) তে সম্পাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়া যাতে অংশগ্রহণমূলক, প্রতিযোগিতামূলক এবং বৈষম্যহীন হয় তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ আয় হয় জাহাজ সেবা এবং মালামাল হ্যান্ডলিং খাত হতে। চবক এর সাম্প্রতিক সময়ের আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের গত ৪ মাসে ১৬৪৩.৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে যা গত বছরের একই সময়কালের রাজস্ব আয়ের তুলনায় ২১.৮৫% বেশি এবং রাজস্ব উদ্বৃত্ত ২৮.০১% বেশি। এদিকে সিন্ডিকেট প্রথা বিলুপ্ত করতে সফল হওয়ায় বন্দরের ২৫ % পরিবহন ব্যয় হ্রাস পেয়েছে বলে জানা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে বন্দরের সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান, শহীদুল আলম, কমডোর এম ফজলার রহমান, মোহাম্মদ শহীদুল আলম, কমডোর কাওছার রশিদসহ সকল বিভাগীয় প্রধান, উপ-বিভাগীয় প্রধান ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিএইচ