২০-৩০ লাখ অভিবাসীকে তাড়াবেন ট্রাম্প

আপডেট: ২০১৬-১১-১৪ ১৫:৫৮:৫৫


WASHINGTON, D.C. - NOVEMBER 10: President-elect Donald Trump speaks during a meeting with House Speaker Paul Ryan (R-WI) at the U.S. Capitol November 10, 2016 in Washington, DC. Earlier in the day president-elect Trump met with U.S. President Barack Obama at the White House. (Photo by Zach Gibson/Getty Images)

নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় অভিবাসী বিষয়ে কট্টর অবস্থানে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখনো সেই অবস্থান থেকে এখনো সরে দাঁড়াননি তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে কারাগারে পাঠাবেন অথবা দেশ থেকে বিতাড়িত করবেন।

সিবিএসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অপরাধগত রেকর্ড আছে যেমন কোনো চক্রের সদস্য বা মাদক ব্যবসায়ী—যারা সংখ্যায় অনেক আছে, যারা সংখ্যায় অন্তত ২০ থেকে ৩০ লাখ হবে, তাদেরকে ধরে আমরা আমাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করবো অথবা তাদেরকে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই মেক্সিকো থেকে আসা।
মানবিক বিবেচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অভিবাসীদের জন্য যে সাধারণ ক্ষমা বা সুযোগ দিয়েছিলেন সেটিকে নাকচ করে দেয়ার কথা নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই বলে আসছিলেন ট্রাম্প। এমনকি কাগজপত্র যাদের নেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও তখন তিনি দিয়েছিলেন।
মেক্সিকো সীমান্ত নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেছেন, মেক্সিকো ও মার্কিন সীমান্তে দেয়াল তুলে দেয়াটাই সবচেয়ে যথার্থ। তবে কিছু অংশে বেড়া বা বেষ্টনীও থাকতে পারে।
কাগজ পত্র ছাড়া আনডকুমেন্টেট অভিবাসী যারা আছেন তাদের ব্যাপারে পরে ভাবা হবে, বিশেষত সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার পর।
রিপাবলিকান দলে অন্যতম শীর্ষ নেতা হাউস স্পিকার পল রায়ান বলেছেন, ব্যাপক সংখ্যায় অভিবাসীদেরকে ফেরত পাঠানোর চেয়ে সীমান্তের নিরাপত্তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ঠিক কী পরিমাণ মানুষকে ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশ থেক বিতাড়িত করবেন, এই নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর এই প্রথম তিনি একটি ধারণা দিলেন।
প্রায় কয়েক বিলিয়ন টাকার এই দেয়াল নির্মাণ প্রকল্প ও গণহারে দেশ থেকে অভিবাসীদেরকে বিতাড়নের প্রস্তাব দেওয়াটা সহজ। তবে, অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করলে এবং নিজের দলের মধ্যেই বিরোধী মত থাকলে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করাটা একেবারেই ভিন্ন বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব বুঝে নেবেন ট্রাম্প।