১০ লাখ পোশাক শ্রমিককে টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থনীতি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৪-১১-২৭ ১৪:৫০:৪৮
১০ লাখ পোশাক শ্রমিককে ভর্তুকি মূল্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে। পণ্যের আমদানি মূল্য ও বিক্রয় মূল্যের মধ্যে ব্যবধান কমছে।
পোশাক শ্রমিকদের টিসিবির পণ্য দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বৈঠকে পোশাক শ্রমিক পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য পাবে ১০ লাখ পোশাক শ্রমিক।
এই ১০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক কি ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটির বাইরে থাকবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১ কোটির ভেতরে আছে। কারণ ১ কোটি সব তো আমরা ইস্যু করতে পারিনি। আমরা বলেছি আপাতত আপনারা এটা করেন। পরে শুধু গার্মেন্টস না, অন্যান্য ক্ষেত্রে আমরা দেখব। আপাতত আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের দেয়ার অনুমোদন দিয়েছি, ওদের দেবে।
কবে নাগাদ গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, টিসিবি যখনই বিক্রি কার্যক্রম শুরু করবে, এটা করব। টিসিবি’র পরবর্তী বিক্রি কার্যক্রমের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকরা সংযুক্ত থাকবেন। এটা ঢাকার আশপাশের বিশেষ এলাকার জন্য।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের ডিওর ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, সাভারসহ ঢাকার আশেপাশের শিল্পগুলোর গার্মেন্টস শ্রমিকদের মাঝে টিসিবির র্নিধারিত পণ্য ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ জন্য টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি উপকারভোগী পরিবারের অতিরিক্ত হিসেবে আরও ১০ লাখ গ্রামের্ন্টস শ্রমিক পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রির বিষয়টি নীতিগত অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি আলোচনার মাধ্যমে এটির অনুমোদন দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকদের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চিনি, ভোজ্য তেল ও মসুর ডাল বিক্রির বাবদ মাসিক সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৩১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আর প্রতি মাসে খাদ্য অধিদফতরের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন চালের প্রয়োজন হবে।
বিএইচ