বাঙালির অহংকার ও বিজয়ের মাস ডিসেম্বর শুরু
সানবিডি২৪ ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৪-১২-০১ ০৮:৩০:৪১
ক্যালেন্ডারের নিয়ম মেনেই বছর ঘুরে আবার হাজির হয়েছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। একাত্তরের ডিসেম্বরে বাঙালি তার আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা ও স্বাধীন পতাকা পেয়েছিল। অর্জন করে নিজস্ব ভূখণ্ড, আর সবুজের বুকে লাল সূর্যখচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় ১৬ ডিসেম্বর।
রূপকথা নয়, একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পাওয়া কোনো উপহার নয়। লাখ লাখ মানুষের প্রাণ, ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে রক্তের প্রবাহ আর নারী-পুরুষের ত্যাগে অর্জিত হয় বিজয়।
আজ ১ ডিসেম্বর। ৫৩ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই ডিসেম্বরেই বাঙালির নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুলাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই ডিসেম্বরের ১৬ তারিখেই আমরা পেয়েছিলাম দেশের স্বাধীনতা। শহীদদের আত্মত্যাগে আমরা পেয়েছিলাম একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, একটি লাল সবুজের পতাকা। তাই ডিসেম্বর মাস বাঙালি জাতিসত্তা আর নিজস্ব ভূমির গৌরবদীপ্ত বিজয় ও অহংকারের মাস।
বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরণ হয় এ মাসেই।
প্রতি বছরের মতো এবারও বিজয়ের মাসে দেশবাসী বিজয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত হবে। শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও শোকে মুহ্যমান হয়ে মাথা নোয়াবে অগণিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। নানা আয়োজনে সবার চেতনায় ধ্বনিত হবে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথার স্মৃতিচারণ আর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতীয় পুনর্জাগরণ, মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়-সামাজিক-আর্থিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মানবোধ জাগানোর লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও দিবসটি পালিত হবে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে প্রতিটি রাজনৈতিক দল দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বিএনপি, জামায়াত থেকে শুরু করে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে।
বিএইচ