অর্থের যোগান বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিলেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ

প্রকাশ: ২০১৬-১১-১৯ ১৫:০৬:১৪


marrkashমারাকাশে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রপ্রধানরা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। এজন্য এক ঘোষণাপত্রে নেতৃবৃন্দ জলবায়ু পরিবর্তন খাতে অর্থের যোগান বাড়ানোর ওপর গুরত্ব আরোপ করেছেন। তারা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো যাতে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে সেজন্য উন্নত দেশগুলোকে অর্থের যোগান বাড়াতে হবে। বিশেষ করে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির দীর্ঘমেয়াদি, উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করতে হবে একসঙ্গে। উন্নত দেশগুলো এতে একশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দ্রুত ছাড় করার ব্যাপারেও অঙ্গীকার করে।
মারাকাশ সম্মেলন শেষে নেতৃবৃন্দ আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্রে বলেছেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে তাতে আমাদের আশু কিছু করণীয় আছে। প্যারিস চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে তারা বলেন, এ চুক্তি ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হওয়া শুরু হয়েছে। উচ্চাভিলাষী হলেও চুক্তিটি বাস্তবায়নে আমরা পূর্ণ অঙ্গীকার করছি।
জলাবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশ ঝুঁকির মধ্যে আছে সেগুলোর বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বলেন, এই দেশগুলোর ঝুঁকি মোকাবিলার ক্ষেত্রে আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে। দেশগুলো যাতে ক্ষতি কাটিয়ে উঠে শক্তভাবে দাঁড়াতে পারে সেজন্য আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। নেতৃবৃন্দ দারিদ্র্য নির্মূলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য পৃথিবীর তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে সব পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে।
২০২০ সালের আগে যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় একটি কার্যকর অবস্থানে পৌঁছা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এসময় নেতৃবৃন্দের প্রচেষ্টা থাকবে বলে উল্লেখ করে বলা হয়, প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশগুলো এটি অর্জন করতে পারে। মারাকাশ সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এক করতে পেরেছে উল্লেখ করে বলা হয়, এখন আমাদের কাজে নেমে পড়তে হবে। বর্তমান এবং ভবিষ্যত্ প্রজন্মের জন্য জলাবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।