যে কারণে সুচি’র নোবেল প্রত্যাহারের সুযোগ নেই
প্রকাশ: ২০১৬-১১-২১ ১৩:৫১:০৪
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা অধিবাসীদের হত্যা ও দেশ ছাড়তে বাধ্য করার পর নীরব ভূমিকার কারণে ক্ষমতাসীন এনএলডি দলের নেত্রী আং সান সুচির নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি ক্রমাগত জোরালো হচ্ছে। আগে থেকে পিটিশনতো ছিলই; সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার ঘটনায় পিটিশন ওয়েবসাইট চেঞ্জ ডট ওআরজি-তে জমা পড়ছে নতুন একের পর এক আবেদন। সেইসঙ্গে পুরনো পিটিশনে স্বাক্ষরদাতাদের সাড়াও বেড়েছে।
তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে সমালোচনা যতই উঠুক না কেন, আজ অবধি কাউকে দেওয়া পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেয়নি নোবেল কমিটি। শুধু তাই নয়, নোবেল ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী, এই পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেওয়ার সুযোগ নেই। ফাউন্ডেশনের নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তিকে নোবেল দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলে এবং তা পর্যালোচনার প্রয়োজন পড়লে তা পর্যালোচনা করা যাবে; তবে তাও ৫০ বছরের আগে নয়। সুচি শান্তিতে বোবেল পুরস্কার পান ১৯৯১ সালে। তাই সেটা যদি পর্যালোচনার দাবিও উঠে তবে সেটা ২০৪১ সালের আগে নয়। আর তারপর কি হবে সেটা ভবিষ্যতে বলা যাবে।
প্রসঙ্গত, চেঞ্জ.ওআরজি হলো একটি পিটিশন ওয়েবসাইট। মূলত মানবাধিকার, শিক্ষা, পরিবেশগত সুরক্ষা, প্রাণী অধিকার, স্বাস্থ্য এবং টেকসই খাদ্যসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের বিপর্যয়পূর্ণ পরিস্থিতিতে পরিবর্তন চেয়ে কিংবা আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়ে এখানে পিটিশনের জন্য স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ চেঞ্জ.অর্গ ওয়েবসাইটটি পিটিশনের স্বাক্ষর গ্রহণের জন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। যেকেউ, যেকোনও জায়গা থেকে এখানে পিটিশন শুরু করতে পারে এবং মানুষের স্বাক্ষর গ্রহণের মাধ্যমে সমর্থন যোগাড় করতে পারে। ভার্জিন আমেরিকার মতো কর্পোরেশন এবং অ্যামনেস্টি ও হিউম্যান সোসাইটির মতো সংস্থাগুলো এ ওয়েবসাইটের অর্থ যুগিয়ে থাকে।