ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি এরশাদের
আপডেট: ২০১৬-১১-২৬ ১৭:১৭:৫৭
বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার দাবি করে নির্বাচন কমিশন গঠনে দেশের সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী আইন প্রণয়নসহ বেশ কযেকটি প্রস্তাবনা দিয়েছেন জাতীয পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পক্ষে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগসংক্রান্ত একটি আইনি কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে। সেখানে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাখার বিধান যুক্ত করতে হবে। তাহলে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন উঠবে না। অবশ্যই, নির্বাচন কমিশনারদের নিরপেক্ষতা, ব্যক্তিগত একাগ্রতা ও সততা, ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ বয়স, পেশাগত যোগ্যতা, নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়জ্ঞান, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা, রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় নয়, অন্য অফিসে নিয়োগে বিধি নিষেধ ও চারিত্রিক স্বচ্ছতা থাকতে হবে।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বর্তমান সংসদেই আইন পাস করে নির্বাচন কমিশনের জন্য আলাদা সচিবালয় গঠন করার প্রস্তাবও দেন। এরশাদ দাবি করেন, তার এসব প্রস্তাবনা অনুসরণ করা হলে দেশে বিতর্কমুক্ত নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব।
তিনি ইসি গঠনে আইন প্রণযনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, সংবিধানে প্রধান নির্বাচন কমিশন নিয়োগে আইনের কথা বলা হলেও বাংলাদেশে এ সংক্রান্ত কোনো আইন নেই। এত দিন পর্যন্ত এ আইন প্রণয়ন করা হয়নি। রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। নিয়োগ প্রক্রিয়া কেমন হবে এ বিষয়ে নীতিমালা প্রদানের কোনো বিধান নেই।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ভারত, আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে ইসি গঠনের পদ্ধতি তুলে ধরে ইসি নিয়োগে আট পদ্ধতির কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, উন্মুক্ত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে, অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে, সংসদ বা আইন সভার মাধ্যমে, নির্বাহী প্রধানের মাধ্যমে (যেমন- প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপ্রধানের মাধ্যমে), বিচার বিভাগের মাধ্যমে, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে, রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে ও একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইসি নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।
এরশাদ বলেন, বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার ছাড়া কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি তার নিজস্ব সংস্কার পদ্ধতি তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এস এম ফয়সল চিশতি, জিয়াউদ্দিন বাবলু এমপি, জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুস সাত্তার, ফখরুল ইমাম এমপি, এয়াহয়া এমপি, সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আবদুস সবুর আসুদ প্রমুখ।