যাত্রা শুরু করলো ওয়ালটন ই-প্লাজা

প্রকাশ: ২০১৬-১১-২৯ ১৩:৩৬:০৫


 

walton-e-commerceই-কমার্স সেবাকে আরো গতিশীল করতে এবং দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে আরো সহজে ওয়ালটন পণ্য পৌছে দিতে সারাদেশে ই-প্লাজা কার্যক্রম শুরু করলো ওয়ালটন। এর ফলে, এখন  থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাহকরাও ঘরে বসেই ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড অথবা ওয়ালেটমিক্স মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অন-লাইনে অর্থ পরিশোধ করে সহজেই কিনতে পারবেন ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সকল পণ্য। বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে গ্রাহকরা অন লাইনে পণ্য কিনে বাংলাদেশের যে কোন ই-প্লাজা স্টোর থেকে পণ্য বুঝে নিতে পারবেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি, ওয়ালটন ই-প্লাজার মাধ্যমে পণ্য কিনে গ্রাহকরা ৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্টসহ শর্তসাপেক্ষে ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধাও পাবেন।

আজ রবিবার (২৭ নভেম্বর, ২০১৬) রাজধানীর মিরপুর মাজার রোডে ও গাজীপুরের চন্দ্রায় একযোগে চালু করা হয়েছে দুটি ওয়ালটন ই-প্লাজা স্টোর। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হলো ওয়ালটন ই-প্লাজা’র। প্রাথমিকভাবে দুটি স্থানে ই-প্লাজা স্টোর চালু করা হলেও, এ বছরের মধ্যেই দেশের সমস্ত জেলা শহরেই ওয়ালটন ই-প্লাজা স্টোর চালু করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের নভেম্বরে ই-কমার্স কার্যক্রম শুরু করে ওয়ালটন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে ই-কমার্স সাইটের উদ্বোধন করেন। চালুর পর থেকেই গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে এই ই-কমার্স সাইট। প্রতিমাসেই উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে পণ্য বিক্রির পরিমাণ। এমনকি অতি দ্রুত উঠে আসে দেশের অন্যতম শীর্ষ ই-কমার্স সাইটের তালিকায়। অনলাইনে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে গ্রাহকদেরকে এতোদিন ওয়ালটন প্লাজা থেকে পণ্য ডেলিভারী দেয়া হতো। কিন্তু, এখন থেকে ওয়ালটন ই-প্লাজা স্টোর থেকে প্রোডাক্ট ডেলিভারী দেয়া হবে ।

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন গ্রুপের সহকারি পরিচালক ও ই-প্লাজার ইনচার্জ মো. মুক্তাদির বিল্ল্যাহ বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকেই ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে আসছে ওয়ালটন। তবে এবার গ্রাহকরা যাতে আরো সহজে ওয়ালটন পণ্য পেতে পারেন সেই লক্ষ্যে চালু করা হলো এই কার্যক্রম। যা ’ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আরো সহায়ক হবে।

তিনি জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের প্রতিটি জেলাতে ওয়ালটনের ই-প্লাজা স্টোর চালু করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলের ক্রেতারা ওয়ালটনের নতুন এই সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

ওয়ালটন আইটি বিভাগের ফার্স্ট সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর লিয়াকত আলী বলেন, গ্রাহকদের হাতের নাগালে উচ্চ মানের প্রযুক্তি পণ্য সহজে পৌঁছে দিতে ওয়ালটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ই-কমার্স সেবাকে আরো গতিশীল ও গ্রাহকবান্ধব করতেই ই-প্লাজা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাহকদের কাছে আরো সহজে ও দ্রুত সময়ে পৌঁছে দেয়া হবে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সকল পণ্য।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের পাশাপাশি খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক বাজারকেও ওয়ালটনের ই-কমার্স প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। অর্থ্যাৎ বিদেশীরাও অন লাইনে পণ্য কিনে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে পারবেন। বর্তমানে ভারত, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মধ্যপ্রাচ্য, ও আফ্রিকাসহ ২০ টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটনের পণ্য।

ওয়ালটন আইটি বিভাগের সফটওয়্যার প্রকৌশলী সিহান মাহমুদ বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে ই-কমার্স লেনদেনকে আরো জনপ্রিয় করতে প্রায় ৪ শতাধিক মডেলের পণ্যে নগদ মূল্যের উপর সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট এবং শর্তসাপেক্ষে ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের ওয়েবসাইটে প্রতিটি পণ্যের পাশে রয়েছে হেল্প অপশন। এখান থেকে গ্রাহকরা সহজেই অন-লাইনের মাধ্যমে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয়ের প্রক্রিয়াজেনে নিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, ক্রেতারা ওয়ালটন প্লাজা ও অন্যান্য আউললেট থেকে পণ্য কিনলে সার্ভিস ওয়ারেন্টি, বিক্রয়োত্তর সেবাসহ যেসকল সুবিধা পেয়ে থাকেন, সেগুলো ওয়ালটন ই-প্লাজা থেকে পণ্য কিনলেও পাবেন।

বর্তমানে, সারা দেশে ওয়ালটন পণ্যের গ্রাহকরা ফ্রিজে পাচ্ছেন এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, এলইডি টিভিতে শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি, এসিতে ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এছাড়াও দেশব্যাপী বিস্তৃত আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট নেটওয়ার্ক থেকে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন।