সিমটেক্সের মালিকসহ পিকে হালদারের ৭ সহযোগীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সানবিডি২৪ আপডেট: ২০২৪-১২-২৫ ১৩:৩৪:০৭
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী মাহফুজা রহমান বেবীস ৭ জনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই নির্দেশ দেন।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান বিতর্কিত পি কে হালদারের ৭ সহযোগী ও তাঁদের তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৩১ টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে— ক্রসরোড করপোরেশন লিমিটেড, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও সিমটেক্স টেক্সটাইল লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাব এবং ক্রস রোড করপোরেশন লিমিটেডের পরিচালক অমল কৃষ্ণ দাস, মশিউর রহমান ও সাব্বির আহমেদ, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান ও মাহফুজা রহমান বেবী, সিনটেক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালক ইনসান আলী শেখ ও হাফিজা খানমের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ৩১ টি হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদক বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দিয়েছেন। দুদকের পক্ষে উপপরিচালক সালাউদ্দিন আহম্মেদ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব শব্দের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, পি কে হালদারের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশন লিমিটেড অর্থ পাচার সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তকালে জানা যায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ক্রসরোড করপোরেশন লিমিটেডকে ৬০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ক্রস রোড করপোরেশন লিমিটেডের পরিচালক অমল কৃষ্ণ দাস মশিউর রহমান ও সাব্বির আহমেদ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত। অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও সিমটেক্স টেক্সটাইল লিমিটেডকে ১২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান, মাহফুজা রহমান বেবী, ইনসান আলী শেখ ও হাফিজা খানম পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে এই ঋণ গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।
দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়েছে, আত্মসাৎ করা ও পাচার করা অর্থ উদ্ধার এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে ঢাকা ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। অভিযুক্ত এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ না করলে আত্মসাৎ করা অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হবে না এবং অভিযোগ অনুসন্ধান প্রক্রিয়াও সম্ভব হবে না।
দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি করেন বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম। রানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।