বাজার খরচ কমানোর কৌশল
প্রকাশ: ২০১৭-০১-০১ ১২:১৪:১৫
বাজারে জিনিসপাতির যা দাম, তাতে মাসের বাজার খরচ কৌশলে কমিয়ে আনতে না পারলে ঋণের হাত থেকে বাঁচবেন না কিছুতেই। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে চাকরিই যাদের সম্বল, তারা যদি ভেবে চিন্তে খরচ না করেন, তাহলে ভবিষ্যতের জন্য কোনো সঞ্চয়ই করতে পারবে না। আসুন জেনে নেয়া যাক মাসের বাজার খরচ কৌশলে কমানোর কিছু টিপস।
১. প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য মাসের প্রথমে এক সঙ্গে কিনে ফেলুন। যেমন এক মাসে কতটুকু চাল, ডাল, দুধ, চিনি, তেল ইত্যাদি লাগে তার হিসেব রাখুন। এই হিসাব মতো প্রতি মাসের শুরুতে এক সঙ্গে সবগুলো পণ্য কিনুন। এতে খরচ অনেকটা কমে আসবে।
২. প্রতি বেলা আলাদা আলাদা করে রান্না না করে এক সঙ্গে দু’বেলার রান্না করে ফেলুন। এতে রান্নার উপাদান কম খরচ হবে।
৩. এমন কিছু দোকান খুঁজে বের করুন যেখানে পণ্য কিছুটা কম দামে কিনতে পাওয়া যায়।
৪. বাইরে খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন।
৫. ক্ষুধার্ত অবস্থায় বাজার করা থেকে বিরত থাকুন। মনস্তত্ববিদদের মতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় বাজার করতে গেলে মানুষ কিছু অপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যও কিনে ফেলে।
৬. মাসের বাজার করার সময় আপনার শিশুকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন না। অনেক সময় তারা বায়না ধরতে পারে এবং তাতে অহেতুক খরচ বাড়তে পারে।
৭. বাজার করতে যাওয়ার আগে কী কী পণ্য কিনবেন তার লিস্ট তৈরি করে ফেলুন। আর লিস্টের সঙ্গে একটি বাজেট প্ল্যান তৈরি করুন। কোন খাতে কত টাকা খরচ হতে পারে তার আনুমানিক একটি হিসেব তৈরি করে নিন।
৮. পণ্য কেনার সময় মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ দেখে নিন। কাছাকাছি তারিখের পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন।
৯. মাংস জাতীয় খাবারের পরিবর্তে ডিম, সবজি খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি খাবার খরচ কিছুটা হলেও কমে যাবে।
১০. শপিং মলগুলোতে প্রায়শই পণ্যের ওপর ছাড় দিয়ে থাকে। ছাড়ের সময় পণ্য কেনার চেষ্টা করুন। এতে খরচ অনেকটা কমে যাবে।