বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটনের ৫০০ মডেলের পণ্য

প্রকাশ: ২০১৭-০১-০৮ ১৮:৪৯:১৬


Waltonঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা-দর্শণার্থীদের রুচি, চাহিদা ও ক্রয় সক্ষমতার ভিন্নতা অনুযায়ী ৬০টিরও বেশি ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের ৫ শতাধিক মডেল প্রদর্শন ও বিক্রি করছে ওয়ালটন। রয়েছে আগামী প্রজম্মের কোয়ান্টম ডট প্লাস প্রযুক্তির স্পেকট্রাকিউ টিভিসহ বেশ কিছু পণ্যের আপকামিং মডেল।
উল্লেখ্য, নতুন বছরের প্রথম দিন শুরু হয়েছে বানিজ্য মেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করেন। তিনি অনেক সময় নিয়ে পরিদর্শন করেন ওয়ালটন মেগা প্যাভিলিয়ন। সেসময় তিনি ওয়ালটনের ল্যাপটপ হাতে নিয়ে দেখেন, প্রশংসা করেন। বাংলাদেশেই উচ্চ প্রযুক্তির টেলিভিশন, ফ্রিজসহ বিভিন্ন হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্স তৈরি হচ্ছে শুনে প্রধানমন্ত্রী খুশি হন। তাঁকে জানানো হয়, উপমহাদেশে ওয়ালটই প্রথম তৈরি করতে যাচ্ছে বিশ্বমানের কম্প্রেসার। উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দেখে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, স্পেশাল প্রোডাক্ট হিসেবে মেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে হাই-রেজ্যুলেশনের ৯৫ ও ৭৫ ইঞ্চির ফোর-কে টেলিভিশন। ওয়ালটন বাজারে এনেছে ইনভার্টার প্রযুক্তির ১০টি মডেলের নোফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ডোনাট মেকার, স্যান্ডউইচ মেকার, ওয়াটার হিটার/গীজার, শরীরের ওজন মাপার যন্ত্র, ব্লেন্ডার, রাইসকুকার, এলইডি বাল্ব, এলইডি প্যানেল লাইট, ওয়াল মাউন্টেড এলইডি টিউব লাইট, ইলেকট্রিক স্যুইচ-সকেট, সিলড লিড রিচার্জেবল ব্যাটারী, হোল্ডার, ফ্যান রেগুলেটরসহ অনেক ধরনের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য।
মেলার প্রধান প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢুকেই মূল টাওয়ারের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে এবং বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন ও ইপিবি তথ্য কেন্দ্রের দক্ষিণ পাশেই ওয়ালটনের দৃষ্টিনন্দন মেগা প্যাভিলিয়ন। ১৫ হাজার বর্গফুটের বিশাল প্যাভিলিয়নের নিচতলায় রয়েছে রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এলইডি টেলিভিশন, ইলেকট্রিক ও মাইক্রোওয়েব ওভেন, রাইসকুকার, ব্লেন্ডারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্সেস। আছে এলইডি বাল্ব, এলইডি প্যানেল লাইট, টিউব লাইট, ইলেকট্রিক স্যুইচ-সকেট, সিলড লিড এসিড রিচার্জেবল ব্যাটারি, ডাটা সকেট, টেলিফোন সকেট, বিভিন্ন সিরিজের মাল্টিপিন সুইচ-সকেটসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে এয়ার কন্ডিশনার, জেনারেটর, ৪টি সিরিজের মোট ২০ টি মডেলের ল্যাপটপ, প্রায় ৭০টি মডেল ও কালারের স্মার্ট ও ফিচার ফোন, মোবাইল পাওয়ার ব্যাংক, ট্যাব ও জেনারেটর। দুটি ফ্লোরেই আছে সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের হেল্প ডেস্ক, ইন্ট্যারন্যাশনাল মার্কেটিং ডেস্ক, করপোরেট সেলস কর্নার ও অন-লাইনে পণ্য কেনা-বেচার জন্য ই-প্লাজা ডেস্ক। তিন তলা ব্যবহৃত হচ্ছে স্টোর হিসেবে।
ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, তাদের প্যাভিলিয়নে ১১২ মডেলের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ৯ মডেলের ডিপ ফ্রিজ, ৬৬টি মডেলের এলইডি টিভি, ২০ টি মডেলের ল্যাপটপ, প্রায় ৭০ মডেল ও কালারের ট্যাব, স্মার্ট ও ফিচার ফোন, ১০ মডেলের এয়ার কন্ডিশনার, আয়রন ও রিচার্জেবল পোর্টেবল ল্যাম্প ও টর্চ লাইট, ২৩ মডেলের রাইসকুকার, ৪৬ মডেলের এলইডি লাইট, ১৩ মডেলের জেনারেটর, ব্লেন্ডার ও ইলেকট্রিক কেটলি, ১৪ মডেলের কভার প্লেট মেটালিক ব্ল্যাক ও ইলেকট্রিক সুইচ, ৯ মডেলের কিচেন কুকওয়্যার, ১২ মডেলের সুইচ-সকেট, ৮টি মডেলের গ্যাস স্টোভ (এনজি ও এলপিজি), ৭ মডেলের মাইক্রোওয়েব ওভেন ও ওয়াল মাউন্টেড টিউব লাইট, ৬ ধরনের মডেলের সিলড লেড এসিড রিচার্জেবল ব্যাটারি, সুইং মেশিন ও কভার প্লেট, ৫টি করে মডেলের ইলেকট্রিক ওভেন, রুম হিটার, ওয়াশিং মেশিন ও এলইডি টিউব লাইট, ৪টি করে মডেলের অটো ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, ওয়াটার পিউরিফায়ার, ইলেকট্রিক জাংশন বক্স ও এলইডি প্যানেল লাইট, ৩টি করে মডেলের ওয়াটার ডিসপেনসার, ভ্যাকুয়াম ফ্লাস্ক, কেক মেকার, সিলিং ফ্যান, ২টি করে মডেলের মাল্টি ক্বারি কুকার, ওয়াটার হিটার/গীজার, হেয়ার স্ট্রেইনার, শরীরের ওজন মাপার যন্ত্র, রুটি মেকার, এয়ার কুলার, প্রেসার কুকার, দেয়াল ফ্যান, রিচার্জেবল ফ্যান ও হোল্ডার। এছাড়াও প্রতিটি ১টি করে মডেলের থাকছে অটোমেটিক ভোল্টেজ প্রোটেকটর, ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স, হেয়ার ড্রায়ার, প্রাইস কম্পিউটিং ওয়েট মেশিন, মপ সেট, ভেজিট্যাবল (সালাদ) মেকার, স্যান্ডউইচ মেকার, ডোনাট প্লেট এক্সসেরিজ, কফি মেকার, টোস্টার, এয়ার ফ্রায়ার, ফ্যান রেগুলেটর, ও পাওয়ার ব্যাংক।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (পিআর এন্ড মিডিয়া) মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ক্রেতারা যাতে এক জায়গাতেই দরকারি সব ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম এ্যাপ্লায়েন্স পণ্য পান সেজন্যই সর্বোচ্চ সংখ্যক পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছে ওয়ালটন। তিনি যোগ করেন, এবার বানিজ্য মেলার ইতিহাসে সবচয়ে বড় প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করেছে ওয়ালটন।