জিরো পেন্ডিং নিয়ে নতুন বছর শুরু

প্রকাশ: ২০১৭-০১-১৮ ১১:৫৪:৫৩


Zero 3২০১৬ সালকে সার্ভিস ইয়ার বা সেবা বর্ষ ঘোষণা করেছিলো ওয়ালটন। চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলো সেবার ক্ষেত্রে জিরো পেন্ডিংয়ের। বছর শেষে তারা ঠিকই সফল হয়েছে। জিরো পেন্ডিং নিয়ে নতুন বছর শুরু করেছে ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যা বাংলাদেশে বিক্রয়োত্তর সেবার ক্ষেত্রে একটি নজীরবিহীন ঘটনা।

সর্বোচ্চমানের গ্রাহকবান্ধব বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ার লক্ষ্যে ওয়ালটন বাড়িয়েছে প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান, কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ ও প্রতিনিধির সংখ্যা। নতুন নতুন সার্ভিস সেন্টার চালুর মাধ্যমে সারা দেশে বিস্তৃত করা হয়েছে সার্ভিস নেটওয়ার্ক। গত বছরের শেষ দিন পর্যন্ত যারা সেবা নিতে এসেছেন সবাই সেবা পেয়েছেন। অনিষ্পন্ন সেবার সংখ্যা শূণ্যের কোটায় নামিয়ে এনে বিদায় জানানো হয়েছে ২০১৬ সালকে।

ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (ডব্লিউএসএমএস) প্রধান নিয়ামুল হক বলেন, টার্গেট ছিলো ‘জিরো পেনডিং (অনিষ্পন্ন) সার্ভিস রেট’ অর্জন করা। এ লক্ষ্য পূরণ কঠিন ব্যাপার ছিল। কেননা সারা দেশে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের কোটি কোটি গ্রাহক। কিছু গ্রাহকের কাছ থেকে বছরের শেষ দিনেও বিক্রয়োত্তর সেবার আবেদন পাওয়া গিয়েছিল। তাদের তাৎক্ষনিক সার্ভিস দেয়া হয়েছে। জিরো পেন্ডিং নিয়ে নতুন বছর শুরু করতে পারা সার্ভিস প্রোভাইডারদো জন্য বিশাল অর্জন। বাংলাদেশে নজিরবিহীন।

জানা গেছে, বাংলাদেশে ফ্রিজ, টিভি, এসি, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস পণ্যের আফটার সেল সার্ভিসে একমাত্র ওয়ালটনেরই রয়েছে আইএসও সনদ (আইএসও ৯০০১:২০০৮)। বিশ্বমানের মেশিনারিজ, উচ্চ শিক্ষিত, দক্ষ, অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ান, মানসম্পন্ন খুচরা যন্ত্রাংশের মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে ওয়ালটন অর্জন করেছে এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

সূত্রমতে, উচ্চমানের পণ্য বিক্রির পাশাপাশি দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা ওয়ালটনের প্রধান লক্ষ্য। সেজন্য নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে ছিলো নতুন কৌশল গ্রহণ, লোকবল বাড়ানো ও সার্ভিস নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, কর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা প্রদান, মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারকরন ইত্যাদি।

ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মনিটরিং বিভাগের প্রধান শাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ২০১৫ সালে সার্ভিস ন্টেওয়ার্কে কাজ করতেন প্রায় ১৬০০ প্রকৌশলী ও টেকনিশয়ান। ২০১৬ সালে কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয় প্রায় দেড়গুন। উচ্চমানের প্রশিক্ষণ বিভাগ চালু হয়েছে। এ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে নিয়মিত ভিডিও কনফারেন্স, কর্মশালা ও দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিলো।

প্রয়োজনে বিদেশ থেকে প্রশিক্ষক আনা হয়েছে, অন লাইনে প্রশিক্ষন ও নীরিক্ষনের ব্যবস্থা রয়েছে। দেশব্যাপী সার্ভিস পয়েন্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সার্ভিস দিতে চালু হয়েছে ভ্রাম্যমান সার্ভিস সেন্টার। সারা দেশে প্রায় ৩০০টি ওয়ালটন প্লাজা এবং এক্সক্লুসিভ ডিলার পয়েন্টে বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব কর্মকর্তা ভালো করেছেন তাদের জন্য বিদেশ ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলতি বছরেও এ ধারা আরো বেগবান হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সবার চেয়ে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে গ্রাহকদের কাছ থেকে পরামর্শ ও ধারণা নিতে দুটি ইমেইল আইডি-support@waltonbd.com এবং info@waltonbd.com – ডেডিকেট করা হয়েছে। বছরের ৩৬৫ দিনই গ্রাহকরা যেকোন মোবাইল থেকে ১৬২৬৭ নম্বরে কল করে পাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা। পাশাপাশি রয়েছে একটি মনিটরিং টিম। যারা কল সেন্টারে আসা সমস্যাগুলো নিষ্পত্তি এবং সেবার মান নিয়মিত পর্যবক্ষেন করছেন। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়েও পৌঁছে দিচ্ছে সার্ভিস। এই সেবা এরইমধ্যে গ্রাহকমহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ওয়ালটনের প্রতিটি সার্ভিস পয়েন্টে রয়েছে পত্রিকা ও ম্যাগাজিন, টি-কফি, টিভি, সুন্দর ঝকঝকে পরিবেশ। এক্সিকিউটিভদের উষ্ণ অভর্থ্যনার সঙ্গে থাকছে কাস্টমার ফিডব্যাক বক্স। এর মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর সেবার মান সম্পর্কে গ্রাহকরা মতামত বা পরামর্শ প্রদান করছেন। সেমতে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে, গ্রাহকরা ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজে ১ বছরের ও এসিতে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির সুবিধা পাচ্ছেন। এলইডি টেলিভিশনেও শর্ত সাপেক্ষে ছয়মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টির সুবিধা রয়েছে। ফ্রিজের কম্প্রেসারে ১০ বছর পর্যন্ত এবং এলইডি টেলিভিশনের প্যানেলে ২ বছরের ওয়ারেন্টি সুবিধা বিদ্যমান।

সানবিডি/ঢাকা/এসএস