চলতি বছর প্রযুক্তি খাতে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে ওয়ালটন

প্রকাশ: ২০১৭-০১-২৩ ২১:২০:৩৬


Waltonচলতি বছর ওয়ালটন ফ্রিজ, এলইডি টেলিভিশন, ল্যাপটপ ও এয়ার কন্ডিশনারে যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন নতুন মডেল। একই সঙ্গে কম্প্রেসার, কম্পিউটার মাদারবোর্ড ও মোবাইল ফোনের মতো নতুন নতুন হাই-টেক পণ্য উৎপাদনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন খাতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশী ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
আজ সোমবার (২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনে আয়োজিত দিনব্যাপী ‘ডিস্ট্রিবিউটর কনফারেন্স‘ এ এসব কথা বলেন, ওয়ালটন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম।
পরিবেশক সম্মেলনে তিনি জানান, চলতি বছরের শুরুতেই ফ্রিজের মডেলে যুক্ত হয়েছে ৪টি নতুন প্রযুক্তির ফ্রিজ। এগুলো হলো গ্লাস ডোর, ডিজিটাল ডিসপ্লে, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার ও সাইড-বাই-সাইড রেফ্রিজারেটর। এ বছরের মধ্যেই বিশ্বের যেকোন ব্র্যান্ডের চেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিকমানের ফ্রিজ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে ওয়ালটন। ফ্রিজের পাশাপাশি ২০১৭ সালে এসিতেও যুক্ত হতে যাচ্ছে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি। টেলিভিশনে যুক্ত হবে আগামী প্রজম্মের কোয়ান্টাম ডট প্লাস প্রযুক্তির স্পেকট্রাকিউ টিভি।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে সারাবিশ্বে কয়েকশ ফ্রিজ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ওয়ালটনের অবস্থান ১৭ তম। ওয়ালটনের লক্ষ্য ২০২০ সালের মধ্যে সেরা ১০টি ফ্রিজ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে আসা এবং বার্ষিক ৪০ লাখ ফ্রিজ উৎপাদন করা। গত বছর ২০১৫ সালের তুলনায় ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি বেড়েছে ৪২ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২০ সালের মধ্যে কাঙ্খিত লক্ষ্য পৌঁছনো সহজ হবে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এসএম নূরুল আলম রিজভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্রুপের চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম, গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম, ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক এসএম রেজাউল আলম, তাহমিনা আফরোজ ও রাইসা সিগমাসহ ওয়ালটনের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
কনফারেন্সে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের উপর ছিলো বিশেষ প্রেজেন্টেশন। ল্যাপটপের সাশ্রয়ী মূল্য, গুনগত উচ্চমান এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বক্তৃতা করেন ওয়ালটনের পরিচালক এসএম রেজাউল আলম।
সারা দেশ থেকে প্রায় ৮০০ জন এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর অংশ নেন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে। আগত অতিথিদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠে ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্স। তারা ৩০টিরও বেশি দলে ভাগ হয়ে পরিদর্শন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ও ওয়ালটন মাইক্রো টেক এর কারখানাসমূহ।
এ সময় তারা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন ওয়ালটনের ফ্রিজ, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, সিলিং ও দেয়াল ফ্যান, ব্লেন্ডার, ইলেকট্রিক সুইচ-সকেট, রিমোট কন্ট্রোল ফ্যান রেগুলেটর, সিলড লেড এসিড রিচার্জেবল ব্যাটারিসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সের উৎপাদন ইউনিট। পরিদর্শনের সময় উৎপাদনে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, মেশিনারিজ ও কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখে তারা মুগ্ধ হন।  পরিবেশকরা আশা প্রকাশ করেন, স্থানীয় বাজারের মতো অচিরেই আন্তর্জাতিক বাজারেও অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হবে ওয়ালটন। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিকমানের প্রযুক্তি পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করবে ওয়ালটন।
দিনব্যাপী এ সম্মেলনে পুরস্কৃত করা হয় দেশ সেরা ৩৮ জন ডিস্ট্রিবিউটরকে। এর মধ্যে ৬টি ক্যাটাগরিতে মোট ১৮ জনকে দেয়া হয় সেরাদের সেরা পুরস্কার। আর বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয় বাকি ১৮ জন এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরকে। পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্য থেকে ১ জন পান ঢাকা-বালি-ঢাকার এয়ার টিকেট, ৭ জন পান ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা এয়ার টিকেট, ৭ জন পান ঢাকা-থাইল্যান্ড-ঢাকা এয়ার টিকেট এবং বাকি ১৭ জন বিশেষ পুরস্কার হিসেবে পান ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এলইডি টেলিভিশনসহ অন্যান্য হোম ও ইলেকট্রনিক্স এ্যাপ্লায়েন্সেস। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় দিনব্যাপী পরিবেশক সম্মেলন।