শরণার্থীদের সহযোগিতায় ইইউ-বলকান সমঝোতা

প্রকাশ: ২০১৫-১০-২৬ ১২:০২:৫২


Soronarthyব্রাসেলসে রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বলকান নেতাদের বৈঠকে শরণার্থীদের নির্বিঘ্নে জার্মানি পৌঁছানো নিশ্চিত করতে এক সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এবং গ্রিক প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাসসহ ১১ নেতা অংশ নেন।

বৈঠকে অংশগ্রহনকারী নেতারা শরণার্থীদের দুর্দশা লাঘবে ১৭ দফা চুক্তিতে রাজি হয়েছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে। এগুলোর অন্যতম হচ্ছে, গ্রিস থেকে জার্মানি পৌঁছানোর দীর্ঘ যাত্রাপথে বলকান দেশগুলোতে ১ লাখ অভ্যর্থনাকেন্দ্র স্থাপন করা। এগুলোর মধ্যে গ্রিসে ৫ হাজার এবং বাকি ৫ হাজার নির্মিত হবে সার্বিয়া ও মেসিডোনিয়ার মত বলকান দেশগুলোর সীমান্তবর্তী এলাকায়। এসব কেন্দ্র নির্মানে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সহায়তায় এসব অভ্যর্থনাকেন্দ্র নির্মিত হওয়ার কথা রয়েছে।

দ্বিতীয়ত, স্লোভেনিয়ায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ৪শ পুলিশ মোতায়েন করা।

তৃতীয়ত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ইরাকের নাগরিকদের দ্রুতগতিতে প্রত্যার্পণের ব্যবস্থা করা।

৪. পশ্চিম বলকান রুটে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি ও বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউরোপোল ও ইন্টারপোল নিযুক্ত করা।

বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর মেরকেল বলেছেন, ইউরোপ আজ অব্দি যেসব সঙ্কট মোকাবেলা করেছে তার অন্যতম হচ্ছে এই শরণার্থী সঙ্কট।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ শরণার্থী বলকান অঞ্চল অতিক্রম করেছে। ক্রোয়েশিয়া বলেছে, শনিবার সাড়ে ১২ হাজার অভিবানপ্রত্যাশী তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। হাঙ্গেরি ওই দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পর ক্রোয়েশিয়ায় এটিই হচ্ছে সর্বোচ্চ শরণার্থীর প্রবেশ।

বৈঠকের আগে নতুন শরণার্থী স্রোত ঠেকাতে ইউরোপের বলকান অঞ্চলের দেশগুলো তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল। নতুন চুক্তিতে রাজি হওয়ার পর তারা সে হুমকি থেকে সরে আসে।

সানবিডি/ঢাকা/এসএস