ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি
প্রকাশ: ২০১৫-০৯-২২ ১১:০৮:৫১
আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়িফেরাকে কেন্দ্র করে পরিবহনের সঙ্কটের দোহাই দিয়ে যাত্রীদের কাছ বাস ও লঞ্চে দ্বিগুন-তিনগুণ বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
মঙ্গলবার সকালে সংগঠনের চেয়ারম্যান শরীফ রফিকউজ্জামান, মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অকেজো লোকাল পরিবহনগুলো গণপরিবহন সঙ্কটকে কাজে লাগিয়ে দূরপাল্লার রোডে সার্ভিস পরিচালনায় এ ধরনের গলাকাটা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গণপরিবহন সঙ্কটের কারণে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে এসব ফিটনেসবিহীন বাস ও লঞ্চে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দ্রুত এসব ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিআরটিএ, বিআইডব্লিইটিএ, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানগুলো উদাসীন হলে বিগত ঈদুল ফিতরের মতো এবারও দুর্ঘটনায় শত শত যাত্রীর প্রাণহানী ঘটতে পারে। সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি লঞ্চের লোড লাইনের দোহাই দিয়ে ধারণক্ষমতার ৩/৪ গুণ অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হচ্ছে।
ভয়াবহ জীবন ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা এসব লঞ্চে যাতায়াত করছে বলে অভিযোগ করে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে চলাচলকারী স্পিডবোটগুলোত বেপরোয়াভাবে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত বয়া ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ছাড়া এসব নৌযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
এছাড়াও ঈদ বকশিসের দোহাই দিয়ে সদরঘাট, ফতুল্লাঘাটসহ সারাদেশের বিআইডব্লিউটিএ, জেলা পরিষদ পরিচালিত ঘাটগুলোতে যাত্রী পারাপারে মাত্র .৫০ পয়সার পরিবর্তে ৫-১০ টাকা হারে ইজারা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।