‘আগামী নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে’
আপডেট: ২০১৭-০২-১৬ ১৬:০৪:৫৮
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। সে সময়ে এই সরকার ‘সহায়ক সরকার’র ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে এই সরকার। আজ দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ্যে ভারতের দ্য বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন পরিচালনার সব দায়িত্ব থাকবে নির্বাচন কমিশনের ওপর। সরকার কেবল তাদের সহায়তা করবে। এর ব্যতিক্রম হবে না। এখন মির্জা ফখরুলরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তারা নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না। নির্বাচন স্থগিত বা বানচাল করার ক্ষমতা বিএনপির নেই।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। তাইতো তারা অলরেডি আগামী নির্বাচনের জন্য মাঠে নেমে পড়েছে। তবে তারা যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল, তাই তাদের কিছু রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে হচ্ছে। তারা প্রথমে রাষ্ট্রপতির কাছে সার্চ কমিটি গঠনের কথা বলল, পরে আবার সার্চ কমিটিকে অস্বীকার করল। আসলে রাষ্ট্রপতি তাদের তালিকার সবাইকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিলেও তারা তার বিরোধিতা করত।
মন্ত্রী বলেন, ভারতে যখন নির্বাচন হয়, তখন তাদের প্রধানমন্ত্রীই ক্ষমতায় থাকেন, যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রধানের অধীনেই নির্বাচন হয়। তাহলে বাংলাদেশে কেন হবে না! বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা আছে। নিয়মানুযায়ী কারো দুর্নীতির অভিযোগে দুই বছর সাজা হলে সে পাঁচবছর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু খালেদা জিয়ার সাজা হবে কি হবে না সেটি তো আমি বলতে পারব না। এটি আদালতের বিষয়। তার সাজা হলে বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, সেটা তাদের বিষয়। তবে আমার বিশ্বাস আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে আসবে।