শাহজালাল বিমানবন্দরে নতুন বিড়ম্বনা মশা

প্রকাশ: ২০১৭-০২-২৩ ১২:২৪:৩০


Shahjalalহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার উপদ্রব আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিমানবন্দর জুড়ে শুরু হয় মশার আক্রমণ। জীবাণুবাহী এই মশার কামড়ে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে যাতায়াতকারী যাত্রী ছাড়াও এই বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। নানা অভিযান চালিয়েও মশক নিধন করা সম্ভব হচ্ছে না। বরং দিন দিন মশার আরো বংশ বিস্তার ঘটে চলেছে।

এই বিমানবন্দর দিয়ে দৈনিক দেশি-বিদেশি শতাধিক ফ্লাইট চলাচল করে। ফ্লাইটগুলোতে যাতায়াতকারী যাত্রীর সংখ্যা কমপক্ষে ১০ হাজার। যাত্রীদের ভ্রমণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য বিমানবন্দরের টার্মিনালে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের লাগেজ পেতে টার্মিনাল ভবনের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সেখানে যাত্রীদের বসার পর্যাপ্ত কোনো ব্যবস্থা নেই। ঝাঁকে ঝাঁকে মশা এসে কনভ্যেয়র বেল্টগুলোর দু পাশে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের ওপর আক্রমণ চালায়। মশার কামড়ে যাত্রীদের নাকাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে বিদেশি যাত্রীরা মশার উপদ্রব নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ। এমনকি ভিআইপি লাউঞ্জও মশার উত্পাত থেকে মুক্ত নয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিমানবন্দরের পূর্ব দিকে বেশ কিছু জলাশয় রয়েছে। এ ছাড়া উত্তরা মডেল টাউন এলাকায় নর্দমাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এসব জলাশয় ও নর্দমায় মশার বংশ বিস্তার ঘটছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এই মশার নিরাপদ বিচরণস্থলে পরিণত হয়েছে। কিছুতেই মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানান, মশা নানা ক্ষতিকর জীবাণু বহন করে। প্রায় সব মানুষই মশাবাহিত নানা রোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।          মশাবাহিত রোগে মানুষের মৃত্যুও ঘটে থাকে। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে ডেঙ্গু, ইয়োলো ফিভার, ম্যালেরিয়া ও জিকা ভাইরাস। জীবাণুবাহী মশার একটি কামড়েই যে কোনো ব্যক্তি মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু এই ভয়ংকর আশঙ্কা সত্ত্বেও বিমানবন্দরের দায়িত্বে নিয়োজিত বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিমানবন্দরের একজন পরিচালক ইত্তেফাককে জানান, বিমানবন্দর এলাকায় মশার উপদ্রব রোধে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে আগের চেয়ে মশার আক্রমণ কিছুটা কমেছে।