পিএসএলে বুকিদের আনাগোনা
প্রকাশ: ২০১৭-০২-২৬ ১০:৪২:৫২
পাকিস্তানের ক্রিকেট আর ঘুষ সব সময়ই হাত ধরাধরি করে চলে ঠিক যেন দুই বন্ধু। চলমান পাকিস্তান সুপার লিগেও ঘুষ লেনদেনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এরই মধ্যে নিষিদ্ধ ক্রিকেটার সারজিল খান ও খালিদ লতিফ আনুষ্ঠানিকভাবে বুকিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার কথা স্বীকার করেছেন। এবং তা নিশ্চিত করেছেন খোদ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান।
সিনেট স্টান্ডিং কমিটির বৈঠকের আগে শাহরিয়ার খান বলেন, ‘ ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের ক্রিকেটার সারজিল খান, খালিদ লতিফ ও মোহাম্মদ ইরফান ইউসুফ নামে এক বুকির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন। কিন্তু সে কথা পিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে তারা জানননি।’
এদিকে বসে না থেকে তাদের চলাফেরার উপর নজর রাখে পিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট। তারা জনতে পারে যে, ইসলাবাদ ইউনাইটেডের উদ্বোধনী খেলার দিন বুকি যা যা করতে বলেছে সারজিল অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করেন। লতিফেরও ইচ্ছা ছিল বুকির কথা অনুযায়ী কাজ করার। কিন্তু ম্যাচের দিন খেলার সুযোগ পাননি তিনি।আর বুকির কথায় কান দেননি মোহাম্মদ ইরফান। কিন্তু তার সঙ্গে বুকির আলাপ-আলোচনার কথা দুর্নীতি দমন ইউনিটকে জানাননি। এ কারণে তার কাজ করবার খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পিসিবি চেয়ারম্যান জানান।
তিনি জানান, বুকিরা কিন্তু সরাসরি ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তারা যোগাযোগ করে তোলেন ক্রিকেটারদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মাধ্যমে।
‘বুকি ইউসুফ প্রথমে নাসিরজামশেদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর তারা দুজনে দেখা করে লন্ডন থেকে থেকে দুবাই যান। সেখানে নাসির জামশেদ ক্রিকেটারদের জানান যে একজন লোক তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান। এরপর সম্মতি পেয়ে নাসির জামশেদ ক্রিকেটার সারজিল, লতিফ ও ইরফানের সঙ্গে আলোচনার আয়োজন করেন,’ বলেন শাহরিয়ার খান।
‘ম্যাচ ফিক্সিং এখন সারা বিশ্বের সবখানেই চলে। যেখানেই টি-টোয়েন্টি খেলার আসর বসে সেখানেই ক্রিকেটারদের সঙ্গে ঘুষ লেনদেন হয়ে থাকে। ম্যাচ ফিক্সিং করতে বুকিরা ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাতেও যায়।’ শাহরিয়ার তার মতামত দেন।