‘খুলে বলতেও পারি না, সহ্যও করতে পারি না’

প্রকাশ: ২০১৭-০৩-১০ ২২:৫৯:৩০


edu-ministerপ্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‌’আমরা এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে আছি যা খুলে বলতেও পারি না, অবার সহ্য করতেও পারি না। সত্যিকার অর্থে মূলবোধ সম্পন্ন শিক্ষক দরকার।’ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন’ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

মানববন্ধনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা গত তিন বছর প্রায় বন্ধ হয়েছিল। তিন বছর আগে বিজি প্রেসে কিছু দুর্নীতিবাজ লোকজন ছিল, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। তারা অনেকেই জেলে আর অনেকেরই চাকরি চলে গেছে।’ তার দাবি, ‘এরপর দু’বছর ভালো ছিল। এবার আবারও এ ধরনের (প্রশ্ন ফাঁস) অভিযোগ উঠেছে। আমরা যখন বিভিন্ন জেলায় প্রশ্নপত্র পাঠালাম তখনও হয়নি। শেষ রাত থেকে বা ভোর রাত থেকে এ ধরনের প্রশ্ন আসে।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি শিক্ষকদের হাতে প্রশ্ন তুলে দিলে আমরা নিরাপদ। তাহলে কে প্রশ্ন ফাঁস করছে? আমরা এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে আছি যা খুলে বলতেও পারি না, অবার সহ্য করতেও পারি না। সত্যিকার অর্থে মূলবোধ সম্পন্ন শিক্ষক দরকার।’

এসময় তিনি বলেন, সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে মানুষের মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। কিছু শিক্ষক আছেন যারা আমাদের সমাজের কলংক। তারা ক্লাসে পড়ান না, বাড়িতে আলাদা টাকা দিয়ে পড়ান।’ নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘এসব ব্যাপারে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে ইচ্ছা করলেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। কারণ, অভিভাবকও চান প্রতিযোগিতায় তার সন্তান ভালো করুক, তাই বাড়িতে গিয়ে পড়ুক। এর ফলে ক্লাসে পড়া হচ্ছে না। এতে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ ছেলে-মেয়েরা। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পুরো সমাজ।’

কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা মহানগরের উত্তরা থেকে ফার্মগেট-বাংলামোটর-শাহবাগ-মৎস ভবন-কাকরাইল মোড়-বিজয়নগর হয়ে প্রেসক্লাব পর্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, কমিশনার ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ, এএফএম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, দুদকের মহাপরিচালক ড. মো. শামছুল আরেফিন, পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, সৈয়দ ইকবাল হোসেন প্রমুখ। এছাড়া দেশের প্রতিটি জেলায় সততা সংঘের সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অশংগ্রহণে অড়াই লাখের বেশি মানুষ দেশব্যাপী এ কর্মসূটিতে অংশ নেয়।