গরুর মাংসের দামের প্রভাব মূল্যস্ফীতিতে
প্রকাশ: ২০১৭-০৩-১৪ ১৭:৪৮:৫৬
ফেব্রুয়ারিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।ফেব্রুয়ারি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। জানুয়ারি মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বরাত দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই তথ্য জানান।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, মাসটিতে গরুর মাংস ও ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছু বেড়েছে।
উল্লেখ, উল্লেখিত মাসে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এছাড়া মাংস ব্যবসায়ীরা গরু-ছাগলের হাটে ইজারাদারদের বাড়তি খাজনা আদায়ের অযুহাতে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বাড়ায়।
এর আগে জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ হিসেবে মোটা চালের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করেছিলেন মন্ত্রী।
ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্য খাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ছিল ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। তবে আলোচ্য মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে নেমেছে। আগের মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৩ দশমিক ১০ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে গ্রামাঞ্চলেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। আগের মাসের ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে শহরেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।