কসবায় বন্দুকযুদ্ধে ‘জঙ্গি মামা হুজুর’ নিহত

প্রকাশ: ২০১৭-০৩-১৬ ১০:২৩:৩৮


নমুনা ছবি
নমুনা ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তাজুল ইসলাম মাহমুদ ওরফে মামা হুজুর (৪৬) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার কুটি চৌমুহনী এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত তাজুল ইসলামকে ‘জঙ্গি’ বলে দাবি করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় কসবা থানা পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। এরা হলেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল আহমেদ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মহিউদ্দিন। তাদেরকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

নিহত তাজুল ইসলামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায়। তিনি কসবা উপজেলার কাইয়ূমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের কবিরাজ ফরিদ মিয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, বুধবার দিবাগত রাতে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচলানার জন্য ৫/৬ জন জঙ্গি কুটি চৌমুহনী এলাকায় জড়ো হয়েছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে কসবা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে জঙ্গিরা পুলিশের উপর ককটেল হামলা এবং গুলি বর্ষণ শুরু করে।

এসময় নিজেদের আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জঙ্গি মামা হুজুরের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে বাকি জঙ্গিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় কসবা থানা পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৩৫টি ককটেল, ৫টি ধারালো চাপাতি ও ১টি পাইপগান এবং ৯ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কবিরাজ ফরিদ মিয়ার (৪৭) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জহির মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, ধর্ষণ, প্রতারণা ঠেকিয়ে বেহেস্তে যেতে কথিত মামা হুজুরের (নিহত ব্যক্তি) নির্দেশে ফরিদ মিয়াকে হত্যা করেন তিনি।