উগ্রবাদীরা স্বাধীনতার মাসকে বেছে নিয়েছে: কাদের

প্রকাশ: ২০১৭-০৩-১৮ ১৮:৫০:২০


kaderআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উগ্রবাদীরা মাঝে কিছু সময় বিরতিতে ছিল। তখন আমিসহ অনেকেই বলেছিলাম, তারা ভেতরে আরও বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা এখন আমাদের স্বাধীনতার মাসকে বেছে নিয়েছে।

আজ শনিবার সকালে আগারগাঁওয়ের এলজিইডি মিলনায়তনে জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির বার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘দেড় বছর পরে আমাদের জাতীয় নির্বাচন। এ ধরনের হামলা নির্বাচনের অন্তরায়।’ সম্মিলিতভাবে এই জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবিলার আহ্বান জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে দলমত খণ্ডিত চিন্তা করে লাভ নেই। আমরা ভিন্ন ভিন্ন দল করি। কিন্তু দেশটা আমাদের সবার। দেশে যদি ঠিক না থাকে, অস্থিরতা, নাশকতা হয়, তাহলে আপনি আমি কেউ নিরাপদ নয়। এটা জাতির জন্য চ্যালেঞ্জ। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে অপশক্তিতে আমাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আমরা বীরের জাতি, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছি। বিশ্বাস করি, এ অপশক্তিকেও আমরা পরাজিত করব।’
কাদের বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। কোনো দলের বিষয় না, দেশের স্বার্থে, জাতীয় স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে সফল অভিযানের কারণে তাদের টার্গেট করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রথমে চান্দিনা, এরপর ফেনী, সীতাকুণ্ড হয়ে আশকোনায় আমাদের এলিট ফোর্স র‌্যাবের ওপর আত্মঘাতী হামলা করেছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করে তাদের মনোবল ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশে একটি স্থিতিহীন পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, হলি আর্টিজানে উগ্রবাদী হামলায় মেট্রোরেলে সাতজন জাপানি পরামর্শকের রক্তাক্ত বিদায় হয়। এতে প্রায় পাঁচ মাস মেট্রোরেলের গতি ঝিমিয়ে পড়ে। এ ধরনের হামলায় আমাদের দেশের মানুষের ওপর যতটা না প্রভাব পড়ে, তার চেয়ে বেশি হয় বিদেশিরা যখন তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়। যে কারণে মেট্রোরেলের মতো একটা প্রকল্পের কর্মকাণ্ড বিলম্বিত হয়।’
যক্ষ্মা দিবস নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যক্ষ্মা আমাদের জন্য অবশ্যই চ্যালেঞ্জ। এটা নির্মূল করা কঠিন কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু এটা নির্মূলের পরিবেশ এখন আমাদের তৈরি করতে হবে। যদি দেশে অস্থিতিশীলতা পরিস্থিতি বিরাজ করে, তবে বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে যাবে।’

জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে বার্ষিক সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন হেলথ সার্ভিসেসের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, একমি ল্যাবরেটরিজের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিনহা, জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক খায়ের উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।