ফেসবুক লাইভে মানসিক ভারসাম্যহীনকে গুলি মার্কিন পুলিশের
প্রকাশ: ২০১৭-০৩-২০ ১২:০১:১১
যুক্তরাষ্ট্রের আলামোর টেনিসিতে গুলি চালিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে মারার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে রডনি জেমস হেস নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা পুরোটাই উঠে এসেছে ফেসবুক লাইভে। কারণ রডনি তখন ফেসবুকে লাইভ ছিলেন।
রডনির বান্ধবী জনিশা প্রভোস্ট জানিয়েছেন, ফেসবুক লাইভে রডনিকে অসহায়ভাবে মরতে দেখেছেন তিনি। পুলিশের এই আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ জনিশা বলেছেন, ‘মানসিকভাবে অসুস্থ এক ব্যক্তিকে এভাবে মারা হলো। মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের আরও সচেতন হওয়া উচিত। পুলিশ তো ওকে সাবধান করতে শুধু গাড়ির টায়ারে গুলি করলেই পারত বা অন্য কোনোভাবে বোঝাতে পারত। মারার তো কোনও দরকার ছিল না।’
সেদিন লুইজিয়ানায় মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন রডনি। এসময় পথিমধ্যে টেনিসির পুলিশ তার গাড়ি আটকায়। পুলিশের বক্তব্য, রডনি তাদের নির্দেশ মানেননি। হাইওয়ের কাছে ভুল জায়গায় গাড়ি রাখা ছিল। পুলিশ অফিসার সে কথা রডনিকে বোঝাতে চাইলেও তিনি বোঝেননি। বরং উল্টোপাল্টা কথা বলেন এবং দু’বার গাড়ি দিয়ে অফিসারকে ধাক্কা মারার চেষ্টা করেন। এর পরেই শুরু হয় তাদের উত্তপ্ত বাদানুবাদ। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালাচ্ছে। উইন্ডশিল্ড ভেদ করে সেই গুলি গিয়ে লাগে রডনির গায়ে।
পুলিশ যদিও দাবি করেছে, রডনি কোনও অস্ত্র ব্যবহার করেননি। তা সত্ত্বেও পুলিশ কেন গুলি চালালো তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। ভিডিওতে রডনির গলাও শোনা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট অফিসারকে তিনি বলছেন, ‘উর্ধ্বতন কোন অফিসারকে ডেকে আনুন।’ এর কিছু ক্ষণের মধ্যে প্রচণ্ড গোলমালের আওয়াজ শোনা যায়। তারপর গুলির জোর শব্দ এবং রডনির চিৎকার। ভিডিওর দৃশ্য কাঁপতে কাঁপতে বন্ধ হয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পুলিশ। ডেইলি মেইল।