আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে রোগীকে ধর্ষণ করল ডাক্তার
প্রকাশ: ২০১৭-০৩-২১ ১৩:৪৩:৩১
ঢাকার আশুলিয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চেকআপ করাতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী পোশাক কর্মী। ধর্ষক চিকিৎসকের নাম রবীন্দ্র বিশ্বাস।
আশুলিয়া বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন প্যাসেন্ট কেয়ার হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষে শুক্রবার দুপুরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটান ওই চিকিৎসক।
এলাকার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ওই ক্লিনিকের সামনে দিয়ে জুমার নামাজে যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ এক তরুণী (১৮) ওড়না ছাড়াই চিৎকার করে বাইরে বেরিয়ে এসে তার স্বামীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সেসময় এলাকার ব্যবসায়ী ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানান ওই তরুণী। তার মুখ, গাল ও বুকে রক্তাক্ত ক্ষতের চিহ্ন দেখা যায়। পরে ওই কক্ষে গিয়ে মেয়েটির ওড়নার সন্ধান মেলে।
জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন মাদবরকে জানানো হয়। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চিকিৎসককে মারধর করেন এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ২৫ মার্চের মধ্যে তা পরিশোধের জন্যে একটি চেকে সই করিয়ে নেন।
ঘটনার দিন থেকে ওই চিকিৎসক ক্লিনিকে যাচ্ছেন না। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি চালু থাকলেও অপরিচিত নম্বরের ফোন ধরছেন না তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক নিয়েছেন উল্লেখ করে ওই হাসপাতালের কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন জানান, ডাক্তারকে মারধর করায় তিনি অন্য একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন মাদবর ফোনে বলেন, এ বিষয়ে ফয়সালা হয়ে গেছে।
এদিকে রোববার দুপুরে প্যাসেন্ট কেয়ার হাসপাতালের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানান, ওইদিন তিনি হাসপাতালে আসেননি, তবে বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ওইদিন কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমাইয়া জান্নাত ওই পোশাক শ্রমিক তরুণীকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দেন।
আশুলিয়া থানার ওসি মহসিনুল কাদির বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে ক্ষতিগ্রস্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’