জাল জামিনে ১০৬ আসামিকে মুক্ত করায় দণ্ডিত ৫
প্রকাশ: ২০১৭-০৩-২২ ১৫:৫২:৪২
জালিয়াতির মাধ্যমে ৭৬টির মামলায় ১০৬ জন আসামিকে কারাগার থেকে মুক্ত করানোর মামলায় আদালতের দুজন কর্মচারীসহ পাঁচজনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার রাজধানী ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে তদন্তে গাফিলতির দায়ে আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক শফিউল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ঢাকার ২ নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পেশকার মোসলেহ উদ্দিন, পিয়ন শেখ মো. নাঈম, উমেদার ইসমাইল, আলমগীর ও জাহাঙ্গীর। তাঁদের মধ্যে আলমগীর ও জাহাঙ্গীর পলাতক। অন্য তিনজন কারাগারে। রায় ঘোষণার সময় এ তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, পরস্পর যোগসাজশে এ আসামিরা ভুয়া জামিননামা তৈরি করে ৭৬টির মামলার ১০৬ জন আসামিকে কারাগার থেকে বের করার ব্যবস্থা করেছেন। অথচ সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে কাউকে জামিন দেওয়া হয়নি। আদালতের কর্মচারী হয়েও এ ধরনের জালিয়াতি করে আসামিরা ঘৃণ্য অপরাধ করেছেন। এ আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কাম্য। এতে আদালতের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সতর্ক হবেন। অন্যদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শফিউল্লাহ তদন্তে চরম অযোগ্যতা ও অবহেলা দেখিয়েছেন। এই কর্মকর্তার উচিত ছিল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের প্রত্যেককে শনাক্ত করে জনগণের সামনে প্রকাশ করা। অথচ তিনি তা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। এমন কর্মকর্তা দুদকের মতো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে বাধ্য।
আদালতের এ আদেশ দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
ঢাকার ২ নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের ৭৬টি মামলায় ১০৬ জন আসামিকে জাল জামিননামা তৈরি করে কারাগার থেকে মুক্ত করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালে পেশকার মোসলেহ উদ্দিন, পিয়ন নাঈমসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। গত বছরের ১৫ মার্চ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচারকাজ শুরু করেন।