“শিক্ষার সাথে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটাতে হবে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে”

প্রকাশ: ২০১৭-০৩-২৮ ১৬:০২:০০


JnU News photo 3‘সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড আন্তর্জাতিক সংগীত উৎসব ২০১৭’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঙ্গলবার, সকাল ১১টায়) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মলিতি গান ‘আনন্দধ্বণি জাগাও গগনে’ গানটি দিয়ে উৎসবের সুচনা করা হয়। এরপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও আমন্ত্রিত অতিথিদের পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও উত্তরীয় পরানো হয় এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, এমপি. বলেন, “সাংস্কৃতিক চর্চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তথা জগন্নাথ কলেজের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। মাঝে শূন্যতা থাকলেও তা আবার নতুন উদ্যামে উজ্জীবিত হচ্ছে। দেশের সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার সাথে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটাতে হবে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে।”
তিনি আরো বলেন, “অন্ধকার মনে, অন্ধকারের শক্তি কাজ করে। দানবের সমাজ নয়, মানবের দেশ গড়তে হলে মনের আলো জ্বালাতে হবে। আর সেটার জন্য সাংস্কৃতিক চর্চার বিকল্প নেই। মানবিক, মুক্তমনা, সহনশীল সমাজ গড়তে হলে সংস্কৃতি চর্চা জরুরি। সংগীত ও শিল্পকে অনুভব করার শক্তি, সংস্কৃতিকে মনে ধারন করা শক্তিই হচ্ছে আলোকিত সমাজ গড়ার মূল মন্ত্র।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “আগে ঢাকা বলতে বর্তমান পুরানো ঢাকাকেই বুঝানো হতো। পুরানো ঢাকা কেন্দ্র করেই প্রাচীন বাংলার ইতিহাস, ঐহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল। বিভিন্ন কারণে পুরানো ঢাকা সাংস্কৃতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে পুরানো ঢাকার সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটতে শুরু করেছে। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন ও অংশগ্রহণ করছে- যা গর্ব করার মত

সংগীত উৎসব উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বিভাগের চেয়ারম্যান অণিমা রায়-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সংগীত উৎসব উদ্যাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান। এসময় প-িত অমরেশ রায় চৌধুরীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
প্রথমদিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করেন পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী শাহিন সামাদ, রবন্দ্রীসংগীত শিল্পী শামা রহমান, প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী ও লোক সংগীত শিল্পী সফি মন্ডল। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ১১ জন শিল্পী এবং চীন হতে আগত ৫ জন শিল্পী মনমুগ্ধকর গান পরিবেশন করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল সমবেত গান, নজরুল গীতি, দেশাত্ববোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত, চাকমা ভাষায় আঞ্চলিক গান। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের ৮ জন শিক্ষার্থী বিশেষ নৃত্য পরিবেশনা করে ।