দুই জঙ্গির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
প্রকাশ: ২০১৭-০৩-২৮ ১৮:৫৪:৪৯
আতিয়া মহলে নিহত দুই জঙ্গির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ওসমানী হাসপাতালে মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে এক জঙ্গির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। অপর জঙ্গির ময়নাতদন্ত শেষ হয় বেলা ৩টার দিকে।
জঙ্গিদের ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শামসুল আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের অপর দুই সদস্য হচ্ছেন ডা. তাহমিনা আক্তার ও ডা. নাদিয়া শারমিন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে দুই জঙ্গির লাশ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে আনা হয়। বেলা ১২টার কিছুক্ষণ পরে শুরু হয় ময়নাতদন্ত।
এর আগে সোমবার এক পুরুষ ও এক নারী জঙ্গির লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। পরে লাশ দুটি ওসমানী হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।
সেনাবাহিনীর অপারেশন টোয়াইলাইটে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি পাঠানপাড়ার আতিয়া মহলে চার জঙ্গি নিহত হয়। এরমধ্যে তিন জন পুরুষ, অপরজন মহিলা।
নিহতদের মধ্যে নব্য জেএমবির নেতা মাঈনুল ইসলাম মুসা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এজন্য নিহত জঙ্গিদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে জঙ্গিদের পরিচয় শনাক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার বাসুদেব বণিক।
এদিকে মঙ্গলবার আতিয়া মহলে অভিযান অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী। বেলা ১টা ১০ মিনিটের দিকে বিকট শব্দে ৪টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, আতিয়া মহল বিস্ফোরকমুক্ত করতে এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এ ছাড়া ভবনের ভেতরে বিস্ফোরক শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী। এক্ষেত্রে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
আতিয়া মহলের ভেতরে এখনও দুই জঙ্গির লাশ রয়েছে। তবে মঙ্গলবার দুপুরে লাশ দুটি সেনা কমান্ডোরা ভবনের ভেতর থেকে বের করে এনেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু পুলিশ বলছে, লাশ দুটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসএম রোকন উদ্দিন বলেন, ‘লাশ দুটি এখনও আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।’