সাফল্যের গীতি কাহিনী : ইসলামী ব্যাংক
প্রকাশ: ২০১৭-০৩-৩০ ১৬:০৫:৪২
তেত্রিশতম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আজকের এই শুভ দিনে ব্যাংকটির সকল স্তরের জনশক্তি , গ্রাহক – শুভানুধ্যায়ী সহ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে এর সাথে জড়িত সকলকে প্রান ঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন !
ইসলামী ব্যাংক শুধুমাত্র একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয় , এটি একটি আন্দোলন , একটি ইতিহাস , একটি সাফল্য গাঁথা । বিংশ শতাব্দীতে সুদের ঘৃণ্যতম অভিশাপ থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের মুক্তির এক নিরন্তর লড়াইয়ের সূচনা । নীতি-নৈতিকতাহীন ঘৃন্য পুঁজিবাদ আজকে মানুষের এ দুনিয়াটাকে শোষক ও শোষিত এই দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে । এক শতাংশ মানুষের হাতে ৯৯ শতাংশ সম্পদ পুঞ্জিভূত করার মত অবস্থায় নিয়ে এসেছে এই ঘৃন্য পুঁজিবাদী ব্যবস্থা ।
সুতরাং ইসলামী ব্যাংকের লড়াই শুধু প্রফিটে প্রথম হওয়া নয়, যদিও সাফল্যের এটিও একটি ছোট ইন্ডিকেটর । অতএব ,এ লড়াই বড় দীর্ঘ , এ পথ বড় কন্টকাকীর্ন। একটি সুবিচার ও ইনসাফ ভিত্তিক ইসলামেী অর্থ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করতে হবে প্রতিটি কর্মীকে । ব্যাংকটিকে আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই ছিল সাফল্যের মুল চাবি কাঠি । বিশেষ করে এর সর্বস্তরের জনশক্তির সীমাহীন শ্রম , ত্যাগ ও কোরবানীর যথা যথ মূল্যায়ন নিশ্চিৎ করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে ।
প্রচন্ড প্রতিকুলতার মধ্যেও জনগন যে ভাবে ব্যাংকটির উপর অবিশ্বাস্য আস্থা রেখেছে , তাদেরকে সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করে এই আস্থার জায়গাটাকে আরো মজবুত ও প্রশস্ত করতে হবে । ঈদানীং ব্যক্তিগত ভাবে এবং ভার্চুয়াল অঙ্গনে ব্যাংকের সেবার মান নিয়ে কিছু কথাবার্তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ; হতে পারে তার সবটুকু সত্য নয় । কিন্তু এর সামান্যটুকুও সত্য হলে বিষয়টিতে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন । জনশক্তির একটি বাস্তব মুখী পরিসংখ্যানের মাধ্যমে প্রকৃত প্রয়োজন নির্ধারন করার বিষয়টি সেই ২০০৭ সাল থেকেই ঝুলে রয়েছে । গ্রাহকদের প্রচন্ড চাপ সামলাতে কর্মীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে , এটি বাস্তবতা এবং এ কারনে গ্রাহক সেবার মান নিম্ন মুখী হতেও পারে । জনগন একবার মুখ ফিরিয়ে নিলে বিপদ কিন্তু সর্বগ্রাসী হবে ।
দিকচক্রবালের কোথাও যখন ইসলামী ব্যংক ব্যবস্থার সফলতার কোনো চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না এবং এটাকে একটি ইউটোপিয়ান ধারনা বলে মনে করা হতো , সেই সময় যে মহতপ্রান মানুষগুলো দূর্দান্ত হিম্মত নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন একটি সুদ মুক্ত ইসলামী ব্যংক প্রতিষ্ঠায় শুধুমাত্র তাদের মালিকের সন্তুষ্টির আশায় , আর বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীগণ নিশ্চিত জীবনের হাতছানিকে ভ্রুকুটি দেখিয়ে এ ব্যাংকে যোগদান করেছিলেন, তাদের মধ্যে যারা চলে গেছেন তাদের মালিকের কাছে , ব্যাংকের একজন প্রাক্তন কর্মী হিসেবে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি, আল্লাহর কাছে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার কামনা করছি । আর এখন যারা এই বিশাল মহীরুহ সামাল দিচ্ছেন তাদের সফলতা, সার্বিক কল্যান এবং দুনিয়া আখিরাতের কামিয়াবীর জন্য হৃদয় ভরা দোয়া করছি ।
সানবিডি/ফেসবুক/এসএস