সিনেমায় ধর্ষণের দৃশ্য ‘নিষিদ্ধ’

প্রকাশ: ২০১৭-০৪-০৩ ১৬:৪৪:০৪


the-children-of-চলচ্চিত্রে সন্ত্রাস ও সরাসরি ধর্ষণের দৃশ্য না দেখানোর বিধানসহ জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭-এর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া বিদেশি চলচ্চিত্র আমদানি ও প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সরকারের আগাম অনুমোদনের বিধান রাখা হয়েছে তাতে।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনের ক্ষেত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সমুন্নত রাখতে হবে।

চলচ্চিত্রে কোনোভাবেই রাষ্ট্রবিরোধী বা জনস্বার্থবিরোধী বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। চলচ্চিত্রে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করা যাবে না।

তিনি বলেন, চলচ্চিত্রে সরাসরি কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না। শিশু বা নারী কিংবা উভয়ের প্রতি সহিংসতা, বৈষম্যমূলক আচরণ বা হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডকে উদ্বুদ্ধ করে এমন কোনো ঘটনা ও দৃশ্য চলচ্চিত্রে প্রদর্শন করা যাবে না। সকল  ধর্মীয় অনুভূতির উপর শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।

তিনি জানান, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী চলচ্চিত্রের সংলাপে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা পরিহার করতে হবে। বিদেশি চলচ্চিত্র আমদানি ও প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সরকারের আগাম অনুমোদন নিতে হবে বলেও জানান সচিব।

মোহাম্মদ শফউল আলম বলেন, এই বিষয়গুলো তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নতুন এই নীতিমালায় চলচ্চিত্রে মাত্রাতিরিক্ত সন্ত্রাস ও সহিংসতা প্রদর্শন করা যাবে না। সন্ত্রাস ও সহিংসতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সেন্সর আইনসহ প্রযোজ্য অন্যান্য আইন ও বিধান প্রযোজ্য হবে।

চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রমিত বাংলা ভাষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নৈতিকতাবোধের উন্নয়ন, দুর্নীতি দমন, সামাজিক কূপমণ্ডূকতা ও কুসংস্কার দূরীকরণ এবং সমাজবিরোধী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করার কথা বলা হয়েছে নীতিমালায়।