সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে ভারতীয় বাণিজ্য জাহাজ ছিনতাই
প্রকাশ: ২০১৭-০৪-০৫ ১৭:২৫:৩৭
শনিবার দুবাই থেকে বোসাসো যাওয়ার পথে সোমালীয় উপকূলে জলদস্যুদের হামলার কবলে পড়ে ভারতের একটি বাণিজ্য জাহাজ। ১১ জন ক্রুসহ জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালীয় জলদস্যুরা। জলদস্যুরা কয়েক বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর সপ্তাহখানেকের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। সোমবার শিল্প ও নিরাপত্তা সূত্রগুলো এ তথ্য জানায়। খবর রয়টার্স।
এডেন উপসাগরীয় এলাকায় সব বাণিজ্য জাহাজ ও ইয়ট ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছে ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও)। ইউকেএমটিও জানায়, ভারতীয় বাণিজ্য জাহাজটি দুবাই থেকে সোমালিয়ার অর্ধস্বায়ত্তশাসিত পান্টল্যান্ডের বোসাসো শহরে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সোকোত্রা দ্বীপের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে জলদস্যুরা জাহাজটি ছিনতাই করে। ইউকেএমটিওর এক মুখপাত্র জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঠিক কোন জায়গায় ঘটেছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে জাহাজটির নাম ‘আল কাউসার’ বলে জানান তিনি। ছিনতাই হওয়া জাহাজটির বিষয়ে বর্তমানে তদন্ত চলছে।
এদিকে পান্টল্যান্ডের জলদস্যুবিরোধী সংস্থার সাবেক পরিচালক আবদিরিজাক মোহাম্মদ দিরির জানান, সোমালীয় উপকূলে প্রবেশের সময় একটি ভারতীয় বাণিজ্য জাহাজ ছিনতাই করেছে জলদস্যুরা। এছাড়া যুক্তরাজ্যভিত্তিক ড্রায়াড মেরিটাইম সিকিউরিটির গ্রায়েম গিবন-ব্রুকসও ছিনতাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শনিবার ছিনতাই সংঘটিত হওয়ার সময় জাহাজটিতে ১১ জন ক্রু ছিলেন। জলদস্যুরা ক্রুসহ জাহাজটি পান্টল্যান্ডের আইল শহরে নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
তবে সোমালীয় জলদুস্য দ্বারা ভারতীয় বাণিজ্য জাহাজ ছিনতাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম জানায়, ছিনতাই হওয়া জাহাজটির নাম আল কাউসার।
২০১২ সালের পর গত মাসে প্রথমবারের মতো তেলবাহী একটি ট্যাংকার ছিনতাই করে জলদস্যুরা। তবে পান্টল্যান্ডের নৌবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যাওয়ায় জলদস্যুরা ট্যাংকারটি ছেড়ে দেয়। এদিকে পৃথক একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে ইউকেএমটিও জানায়, এ অঞ্চলে জলদস্যুদের আনাগোনা আবার বেড়ে গেছে। সোমবার নিজেদের ওয়েবসাইটে ইউকেএমটিও জানায়, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে মই ও আংটা নিয়ে ছয়টি নৌকায় করে একটি জাহাজের দিকে জলদস্যুরা অগ্রসর হয়। তবে জলদস্যুরা আক্রমণ করার আগেই অ্যালার্ম বাজিয়ে জাহাজের রক্ষীরা অস্ত্র হাতে প্রতিরোধমূলক অবস্থান গ্রহণ করে। এতে জাহাজটির কোনো ক্ষতি না করেই এলাকা ত্যাগ করে জলদস্যুরা।
উল্লেখ্য, সোমলীয় সরকার নিজ জলসীমায় বিদেশী জেলেদের মাছ ধরার লাইসেন্স প্রদান করায় বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনগণ। বিদেশী জাহাজের আনাগোনা নতুন করে অঞ্চলটিতে জলদস্যুদের তত্পরতা বাড়িয়ে থাকতে পারে।