ধর্ষণের শিকার সেই নারী মেম্বারকে তালাক দিচ্ছেন স্বামী
প্রকাশ: ২০১৭-০৪-০৮ ১০:৩১:০০
চেয়ারম্যান ও মেম্বারের ধর্ষণের শিকার সেই নারী মেম্বারকে তালাক দিচ্ছেন তার স্বামী। সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছেন স্বামী আবদুল মান্নান। এরই মধ্যে তালাকের প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী মেম্বার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন। সেখানে স্ত্রীকে চোখের দেখাও দেখতে জাননি আবদুল মান্নান। তার অভিযোগ, ওই ইউনিয়নে মহিলা মেম্বার তার স্ত্রী একাই নন। তবে তিনিই কেন এমন ঘটনার শিকার। বিষয়টি কিছুতেই মানতে পারছেন না তিনি।
এদিকে, এ ঘটনাকে নেক্কারজনক বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাবী। দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন চন্ডিপুর পাকা রাস্তায় প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। এলাকার সুধি সমাজের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়েছে।
বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহামুদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নারী মেম্বারকে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার সকালে আটক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ওই নারী মেম্বারের দায়ের করা মামলায় তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া নারী মেম্বারের স্বামীর তালাকের ঘোষণা লোকমুখে শুনেছেন বলে জানান ওসি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি মেম্বার আলাল উদ্দিনের কাছে ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী ইউপি মেম্বার। এ ঘটনায় তাকে সহযোগীতার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নেরই চেয়ারম্যান জান্নাত আলীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর তাদের দুজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা।
পরে ধর্ষণের শিকার ওই নারী নেম্বার পুলিশকে জানান, ইউপি মেম্বার আলাল উদ্দিন তাকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে জরুরি কথা আছে বলে পরিষদের লাইব্রেরি কক্ষে নিয়ে যান। ওই কক্ষে প্রবেশের পর দরজা-জানালা বন্ধ করে প্রথমে কুপ্রস্তাব দেন আলাল উদ্দিন। এক পর্যায়ে প্রকল্প পাইয়ে দেয়ার নামে তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় ওই কক্ষের বাইরে তালা মেরে চেয়ারম্যান চাবি নিয়ে চলে যান।