বর্তমান সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তি: মোদি

প্রকাশ: ২০১৭-০৪-০৮ ১৬:২৬:১৭


narendra-modiপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি না হলেও বর্তমান সরকারের আমলেই এই চুক্তি হবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক শেষে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনার সফরের দ্বিতীয় দিন হায়দ্রাবাদ হাউজের ডেকান স্যুইটে শেখ হাসিনা ও মোদির মধ্যে একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষ হয়। এরপর ওই ভবনেরই বলরুমে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই ও হস্তান্তর হয়। সফরের আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনার কথা বলেন। তবে শেষ পর্যন্ত হয় ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক।

এই সফরের আগে সবচেয়ে বেশি কথা হয়েছে সে বিষয়গুলো নিয়ে, তার একটি তিস্তার পানিবণ্টন। এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হচ্ছে না-আগেই জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে ২০১১ সালে চুক্তির বিরোধিতাকারী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে রাজি করাতে নানা উদ্যোগ, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগের দিন বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানীতে কেন্দ্রীয় সরাকরের আমলাদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আমলাদের বৈঠকের পর নাটকীয় কিছু হওয়ার সম্ভাবনা যা তৈরি হয়েছিল, সেটিও উবে গেছে।

অবশ্য চুক্তি না হলেও মোদি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন নিজে থেকেই। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আমার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলে আমি কৃতজ্ঞ। এ বিষয়ে চেষ্টা চলতে থাকবে। আমার সরকার এবং শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালেই এ বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি।’

২০১১ সালেই তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে চুক্তির খসড়াও প্রস্তুত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তিতে আটকে যায় এই চুক্তি। মমতার দাবি, ভারত বাংলাদেশকে যে পরিমাণ পানি দেবে বলছে, সে পরিমাণ পানি পশ্চিমবঙ্গের নদীতেই আসে না। আরও উজানে গজলডোবা এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করে পানি প্রত্যাহারই এর কারণ।

এই সমস্যার সমাধানে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার বড় আকারের একাধিক জলাধার নির্মাণের বিষয়ে কথা বলছে। বর্ষা মৌসুমে এই জলাধারে পানি সংরক্ষণ করে রাখা যাবে এবং শুকনো মৌসুমে তা ছাড়া হবে। এটা হলে তিস্তার পানিপ্রবাহ শুকনো মৌসুমেও পানি প্রবাহ ঠিক থাকবে।