জাতীয় স্বার্থ বিরোধী প্রতিরক্ষা চুক্তি নতজানু পররাষ্ট্র নীতির বহিঃপ্রকাশ
প্রকাশ: ২০১৭-০৪-০৯ ১৮:০৫:১৯
তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও দেশবিরোধী প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ লেবার পার্টি- ঢাকা দক্ষিণের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, জাতীয় স্বার্থ বিরোধী প্রতিরক্ষা চুক্তি নতজানু পররাষ্ট্র নীতির বহিঃপ্রকাশ। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে সম্পাদিত ২২ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের জনগণের জন্য কোন সুখবর নেই। বরং দাসত্বের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাক্ষরিত কয়েকটি চুক্তি এবং তাদের কাছ থেকে সাবমেরিন কেনার পর ভূরাজনৈতিক নিরাপত্তার প্রশ্নে উদ্বিগ্ন ভারত। সেই উদ্বেগ দূর করতেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পাদন করেছে ভারত। আর বাংলাদেশের সরকার সেই চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে মূলত দেশের বিরুদ্ধেই অবস্থান গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যকোন দেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তির নজির নেই।
তিনি বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সামরিক চুক্তির মাধ্যমে সরকারকে দেশকে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি দাঁড় করালো। এই কারণেই হয়তো দেশ-জাতিকে কঠিন মূল্য দিতে হতে পারে। চুক্তির কারণে বাংলাদেশ তার নিরাপত্তার জন্য ভারতের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বন্ধুত্ব হয় সমানে-সমানে। কিন্তু কোন বন্ধু যদি বন্ধুত্বের নামে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তবে তাহলে সেটিকে বন্ধুত্ব নয় সেটি হয় প্রভুত্ব। ভারত বাংলাদেশের সাথে বহু অমিমাংসীত বিষয় এখনো সমাধান করেনি। এখনো দুই দেশের সীমান্তে ভারতের বিএসএফ দ্বারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে। ফেলানীসহ হাজার হাজার বাংলাদেশী হত্যার বিচার হয়নি।
লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ মেহেদী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেষে ভারতীয় এলাকাগুলোতে পরিকল্পিতভাবে ফেনসিডিলসহ মাদকের কারখানা খুলে তা বাংলাদেশে রপ্তানী করে দেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আর বাংলাদেশকে মরুময় করার জন্য স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের পানি আগ্রাসন সর্বজনবিদিত। এ ধরনের আত্মঘাতি রাষ্ট্রবিরোধী প্রতিরক্ষা চুক্তি এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। বরং চুক্তির বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলবে।
ঢাকা দক্ষিণ লেবার পার্টির সভাপতি শামসুদ্দিন পারভেজ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান এড. ফারুক রহমান, যুগ্ম মহাসচিব হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, আহসান হাবিব ইমরোজ, মাহামুদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এড. আজমল হোসেন, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকন, যুব সম্পাদক হুমায়ুন কবির, লুৎফর রহমান রফিক, ছাত্র মিশন সভাপতি কামরুল ইসলাম সুরুজ ও যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মো. মিলন প্রমুখ।