এত মাদক কী করবেন সৌদি যুবরাজ?
আপডেট: ২০১৫-১০-২৭ ১৩:০৮:০২
সৌদি আরবের এক যুবরাজ বিপুল পরিমাণ মাদকসহ লেবাননের বৈরুত বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন। তার সঙ্গে আরো চার সৌদি নাগরিক রয়েছেন। প্যাকেট করা মাদক বিমানে তোলার আগে তল্লাশি চালিয়ে কাস্টমস তা শনাক্ত করে।
এর আগে কখনো এত পরিমাণ মাদক আটক হয়নি বৈরুত বিমানবন্দরে। প্রশ্ন উঠেছে, এত মাদক দিয়ে সৌদি যুবরাজ কী করবেন? এনডিটিভি অনলাইনের এক খবরে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদি যুবরাজ আবদেল মোহসেন বিল ওয়ালিদ বিন আবদুল আজিজ বৈরুত বিমানবন্দর দিয়ে দুই টন ‘ক্যাপটাগন’ বড়ি ও কিছু কোকেন পাচারের সময় চার সঙ্গীসহ সোমবার আটক হন।
এএফপির বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, লেবাননে সবচেয়ে বড় মাদক চোরাচালানের নজির এটি, যা বৈরুত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নস্যাৎ করে দেয়।
ক্যাপটাগন হলো অ্যাম্ফিটামাইন ফেনেথিলাইনের বাজারি নাম। ক্যাপটাগন শরীরে কৃত্রিম উত্তেজনা সৃষ্টি করে, যে কারণে তা যৌন উত্তেজক বড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশ্বজুড়ে ক্যাপটাগন নিষিদ্ধ। তবে মধ্যপ্রাচ্যের লোকেরা যৌন উত্তেজক বড়ি হিসেবে নিষিদ্ধ এই ক্যাপটাগনকেই বেশি পছন্দ করে। তবে কি সৌদি যুবরাজ চোরাচালানের অন্ধকার রাজত্বের রাজা? এদিকে যুবরাজসহ পাঁচজনকেই আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিমানবন্দরে আটক রাখা হয়েছে।
২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে বৈরুত বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবে ১ কোটি ৫০ লাখ পিচ ক্যাপটাগন বড়ি পাচারের সময় তা ধরে ফেলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাহিনী। অর্থাৎ বৈরুত হয়ে এ ধরনের পাচার প্রায়ই হয়ে থাকে। লেবাননের জাতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত বিমানে ৪০টি সুটকেসে করে ক্যাপটাগন বড়ি বৈরুত থেকে রিয়াদে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল।
সৌদি আরবের বিশাল রাজপরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ সেভাবে আমলে নেওয়া হয় না।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের বেভারলি হিলস ম্যানশনে এক সৌদি যুবরাজ জোর করে এক নারীর সঙ্গে যৌনাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার হন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট প্রমাণের অভাব দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন করেনি।
২০১৩ সালে আরেক যুবরাজ লস অ্যাঞ্জেলেসে এক কেনীয় নারীকে জোর করে দাসী বানিয়ে রাখার অপরাধে অভিযুক্ত হন। কিন্তু তার বিরুদ্ধেও শেষ পর্যন্ত কোনো বিচারিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ