শফীর জঙ্গিবিরোধী বক্তব্যই লাভ: কাদের
প্রকাশ: ২০১৭-০৪-১৫ ১৭:০১:৩২
কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদের স্বীকৃতির ঘোষণার পর ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামীর আমির আহমদ শাহ শফী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জানিয়ে একেই সরকারি সিদ্ধান্তের লাভ হিসেবে দেখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির পরে আল্লামা শফি হুজুর গতকাল এক জনসভায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছে। তার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটা লাভ নয় কি?’।
শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় খ্রিস্টান সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় উৎসব ‘ইস্টার সানডেকে সরকারি ছুটি ঘোষণাসহ বেশ কিছু দাবি জানায়। এগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন ওবায়দুল কাদের।
এই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের আলাপচারিতায় উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজত আমিরের মত বিনিময়ে কওমি সনদের স্বীকৃতির ঘোষণার প্রসঙ্গ।
গত মঙ্গলবার গণভবনে আলেম ওলামাদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাসিদকে মাস্টার্স ইন ইসলামিক স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যারাবিক এক সমমান দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য অপসারণে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র সিনহার সঙ্গে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী। ন্যয়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্যটিকে মূর্তি আখ্যা দিয়ে এটি অপসারণে আন্দোলনে ছিল হেফাজত।
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর সরকার ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে আাপস করেছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। তবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা আপস নয়। তিনি বলেন, ‘অনেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির সঙ্গে হেফাজতের স্বীকৃতি বলে গুলিয়ে ফেলে। আমাদের স্বীকৃতি হচ্ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল অবকাঠামোর মধ্যে কওমি মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রায় ১৪ লাখ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎতের মধ্যে থাকে। তাই আমরা কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছি। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও আধুনিকায়ন ও নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাস্তবতাই হচ্ছে প্রগতিশীলতা। বাস্তবতাকে বাদ দিয়ে কেউ প্রগতিশীল হতে পারে না।’ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ূয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।