সৌদি নারীদের ভ্রমণে অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন নেই
প্রকাশ: ২০১৭-০৫-০৬ ১৭:৩৫:১৩
সৌদি আরবে নারীদের ভ্রমণে আর অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন নেই। এখন থেকে তারা নিজ সিদ্ধান্তেই ভ্রমণে যেতে পারবেন। এর আগে সৌদি নারীদের ভ্রমণে যেতে হলে অভিভাবকের অনুমতি নিতে হতো। এমনকি নারীকে ভ্রমণের পাশাপাশি পড়াশোনা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রেই অনুমতির প্রয়োজন ছিল।
শনিবার ব্রিটেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বিতর্কিত পুরুষ ব্যবস্থাকে নিরুৎসাহিত করে নারীকে তাদের জীবনধারার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য দেশটির এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
সৌদ আরবের বেশ কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, রাজা সালমান একটি আদেশ জারি করেছেন যে নারীদের একজন পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো সরকারি সেবা লাভের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি পুরুষের ক্ষমতার অপব্যবহারও কমে যাবে। কিছু পুরুষ নিজেদের কাছে ক্ষমতার অব্যবহার করতো।
রাজার কাছ থেকে নতুন আদেশের পর সৌদি নারীদের আর ভ্রমণএবং পড়াশোনার জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ করার প্রয়োজন হবে না।
2011 সালে যখন বাদশাহ আব্দুল্লাহ সরকারি উপদেষ্টা শুরা কাউন্সিল পৌর নির্বাচনে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান করে। এছাড়া ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো নারীদের অলিম্পিকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়।
তবে সৌদি আরব এখনো ২০১১ সালের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপের ১৪৪টি দেশের মধ্যে ১৪১তম স্থানে রয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক গবেষণায় দেখা গেছে- নারীরা অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সম্পর্কে বেশ সুবিধা পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সৌদি আরবে বেসরকারি চাকরির বাজারে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে ১৪৫ শতাংশ। ২০১৬ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে জেনারেল অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স (জিওএসআই)-এ ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪শ নারী নিবন্ধিত হয়েছেন। ২০১২ সালের চেয়ে এই সংখ্যা ১৪৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। ওই বছরের শেষ নাগাদ ২ লাখ ৩ হাজার ৮৮ নারী বেসরকারি চাকরি বাজারে প্রবেশ করেন।