আইন বলছে সিনেটর অনৈতিক সম্পর্ক করেছেন

আপডেট: ২০১৭-০৫-০৮ ১৬:৩৮:২০


Sagor৫২ বছর বয়সী সিনেটর ডন মেরিডিথ এর কাছে মেয়েটি এসেছিলে কানাডীয়ান পার্লামেন্ট বা সিনেটে ইন্টারনি করার সুযোগের জন্য। ‘ইন্টারনীশিপ’ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়েই মেয়েটির সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ডন মেরিডিথ। মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করতে গিয়ে সেলফোনে রোমান্টিক বার্তা পাঠাতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে সেই বার্তাগুলো যৌন আবেদনে রুপান্তরিত হয়। একটা সময়ে এসে তারা সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন এবং শারীরিকভাবেও মিলিত হন।
এই সব যখন ঘটে সেটি কারোই নজরে পড়েনি। অটোয়ায় সিনেটের এর সরকারি বাসা এবং সরকারি অর্থে থাকা হোটেল কক্ষেও তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। কিন্তু ঘটনাটা জানা জানি হয় বছর দুয়েক পর, টরন্টো স্টারের অনুসন্ধানে। ব্যাস শুরু হয়ে যায় হৈ চৈ।
সিনেটর ডন মেরিডিথ এর সাথে মেয়েটির শারীরিক সম্পর্কে ডন কি কোনো জোর খাটিয়েছে? ঠিক তা নয়। দুজনেই আসলে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু আইন সেটি মানতে নারাজ। কানাডার আইনে ১৬ বছর বয়সী একজন ছেলে বা মেয়ে যৌন সম্পর্কের সম্মতি দিতে পারে। কিন্তু যার সাথে সম্পর্কটি হবে তাদের কেউ যদি ‘বিশ্বাসের সম্পর্কের’ কেউ হন- সেই ক্ষেত্রে সম্মতির বয়স হতে হবে ১৮ বছর। শিক্ষক, সাংসদ, সিনেটর- এরা ‘বিশ্বাসের সম্পর্কের’ পর্যায়ভূক্ত। তথ্যপ্রমাণে দেখা গেছে সিনেটর ডন মেরিডিথ অন্তত একবার মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন- তার ১৬ বছর বয়সে। আর রোমান্টিক এবং যৌন আবেদনময় বার্তা পাঠিয়েছেন- ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সে। আইন বলছে সিনেটর অনৈতিক সম্পর্ক করেছেন মেয়েটির সাথে।
সিনেটের এথিকস অফিস দীর্ঘ তদন্ত করেছে। সেই তদন্তে ১৬ বছর বয়সী এক তরুণীর সাথে সিনেটর ডন মেরিডিথ এর শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে। এথিকস অফিস সুপারিশ করেছে- ডন মেরিডিথকে সিনেট থেকে বহিষ্কার করতে হবে। আগামী সপ্তাহে ১৫০ সদস্যের সিনেটে ভোট হবে তাদেরই একজন সহকর্মী ডন মেরিডিথ এর বহিষ্কারের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে।