মিরপুরের এসি ও ওসি প্রত্যাহার, এসআই বরখাস্ত

প্রকাশ: ২০১৭-০৫-১৪ ১৯:১৯:৩৪


Shishuরাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মারামারি, চুরি, ঘর-বাড়ি ভাঙার মামলায় মৃত ব্যক্তি এবং ১১ মাসের এক শিশুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মারুফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) কাজী মাহবুবুল অালম ও ওসি (তদন্ত) মো. সাজ্জাদ হোসেনকে প্রত্যাহার এবং মিরপুর জোনের ডিসি ও এডিসিকে সতর্ক করা হয়েছে।

রবিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) সহেলী ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ওসি (তদন্ত) মো. সাজ্জাদ হোসেনকে প্রত্যাহার করে এপিবিএন মহালছড়িতে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং  এসি কাজী মাহবুবুল আলমকে ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হচ্ছে।

এর আগে, আসামি পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মামলার বাদীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন।

শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ২০ নম্বর আসামি রুবেল গত বছরের ৬ জুন পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন। অপরদিকে অন্য অভিযোগপত্রভুক্ত ১২ নম্বর আসামি আরিফুর রহমান ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৬ জুন মিরপুরের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের সময় আসামি রুবেলের বয়স ছিল ২০ দিন। বর্তমানে তার বয়স ১১ মাস। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে তাকে ৩০ বছরের যুবক দেখিয়েছে। এছাড়া নিহত আরিফুর রহমান ঘটনার তিন বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন আরিফুর রহমান। যা মানবতার চরম লঙ্ঘন এবং নবজাতকের বিরুদ্ধে ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা মামলা করা আইনের লঙ্ঘন। আসলে মামলার বাদীর সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা উদ্দেশ্যমূলকভাবে অবৈধভাবে নিজে লাভবান হওয়ার জন্য সরেজমিনে না গিয়ে থানায় এসি রুমের মধ্যে বসে তদন্ত রির্পোট তৈরি করেছে। এ কারণে তদন্ত কর্মকর্তা তার শপথ ভঙ্গ করেছেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৭ তদন্ত কর্মকর্তা উপরোক্ত দুই আসামিসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আমার তদন্তকালে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাদীর আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এ অভিযোপত্রে মামলায় ভুইঁয়া মাহবুব হাসান রুজুকারী অফিসার (অফিসার ইনচার্জ মিরপুর মডেল থানা), এ এস আই আবুল হাসান, এ এস আই গোলাম কিবরিয়া, এ এস আই রায়হান ফেরদৌস, এ এস আই বিপ্লব কুমারসহ ১১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।