সুমন নামে হোটেলে রুম নিয়েছিলেন বিল্লাল

প্রকাশ: ২০১৭-০৫-১৬ ১১:২৯:৫৫


Raintreeবনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার সাফাত আহমেদের গাড়ি চালক বিল্লাল ভুয়া নাম ব্যবহার করে রাজধানীর নবাবপুরের হোটেলে উঠেছিলেন। হোটেলের নিবন্ধন খাতায় তার নাম সুমন বলে লিপিবদ্ধ করেছিলেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) ও অ্যাডিশনাল ডিআইজি জাহাঙ্গীর হোসেইন মাতুব্বর।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিল্লালকে রাজধানীর নবাবপুরের দ্য নিউ ঢাকা বোডিং হোটেলের ৫নং কক্ষ থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১০।

জাহাঙ্গীর হোসেইন মাতুব্বর বলেন, সুমনের ঢাকায় আসার উদ্দেশ্য ছিল, দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা থেকে কীভাবে পার পাবে সেই বিষয়ে একজন আইনজীবীর পরামর্শ নিতে। সোমবার সকালেই তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। দ্য নিউ ঢাকা হোটেলে তিনি সুমন নাম বলে রুম ভাড়া নিয়েছিলেন। দিনের কোনো এক সময়ে তিনি ওই হোটেলে একজন আইনজীবীর সঙ্গে আলাপও করেছিলেন।

তিনি বলেন, মামলা হওয়ার পর অভিযুক্তরা সবাই সিলেটে চলে যান। সেখানে তারা একেকজন একেক রিসোর্টে অবস্থান করেন। যখন মামলার দুই আসামি সিলেট থেকে গ্রেফতার হন তখন বিল্লাল সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় চলে যান। সেখান থেকে সোমবার সকালে তিনি ঢাকায় আসেন।

তিনি আরো বলেন, বিল্লাল ঢাকায় আসছে সেই বিষয়ে আমরা আগে থেকেই গোয়েন্দাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছিলাম। দুপুরে আমরা জানতে পারি তিনি নবাবপুরের কোনো একটি হোটেলে অবস্থান করছেন। বিকেল ৪টার দিকে আমরা নিশ্চিত হই তিনি কোন হোটেলে আছেন। বিকেল ৫টার দিকে হোটেলের কোন কক্ষে আছে সেটি জানতে পারি এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করি।

বিল্লাল সাফাতের চালক হিসেবে দুই দফায় প্রায় চার বছর কাজ করেছেন। প্রথমে তিনি সাফাতের চালক হিসেবে সাড়ে তিন বছর কাজ করেন। মাঝে তিনি অন্য আরেক জায়গায় কাজে চলে যান। সর্বশেষ ছয়মাস আসে তিনি আবার সাফাতের চালক হিসেবে কাজে যোগ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বনানীর ওই হোটেলে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত করে নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই দুই তরুণীকে। সেখানে অস্ত্রের মুখে তাদের হোটেল কক্ষে আটকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন, সাদমান সাকিফ, সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী রহমত আলী। মামলা পর সিলেট থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে সাফাত ও সাকিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সর্বশেষ সোমবার সন্ধ্যায় নবাবপুর থেকে বিল্লাল ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান থেকে রহমত আলীকে গ্রেফতার করে।