রাবি শিক্ষার্থীকে কর্মচারীর চড়!
প্রকাশ: ২০১৭-০৫-১৮ ১৮:১৪:৪৩
পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের চড় মারাসহ ইট দিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সুমনুজ্জামান নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে বানেশ্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ক্যাম্পাসে আসার সময় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মো. সুমনুজ্জামান সুমন পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক-২ ভবনে ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে সহায়ক কর্মচারী হিসেবে কর্মরত।
ভুক্তভোগী মানিক আলী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক। আরেক ভুক্তভোগী মো. রতন আলীও স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ¯œাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী।
মারধরের ঘটনার ভুক্তভোগী মো. রতন আলী বলেন, বানেশ্বর থেকে ৯টা ৩৫-এ ছেড়ে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে আমরা আসছিলাম। বাস বেলপুকুর এলাকায় আসলে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সুমন উঠেন। উঠেই তিনি আমাকে বেড়ে গেছি বলে গালি দিয়ে বকাঝকা শুরু করেন।
এসময় পাশে বসে থাকা মানিকসহ আমাকে চড় মারে সুমন। আমাদের দুজনকেই মারধার করতে থাকেন তিনি। সুমনের সঙ্গে স্থানীয় দুই-একজন স্থানীয় ছেলেপেলেও ছিল। এসময় সুমন তার এলাকার অনেককে ফোন করতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসে মারামারির পর বাস থেকে নামলে তাদের মধ্যে আবার বাকবিত-া শুরু হয়। এসময় সুমন ইট হাতে মারতে উদ্ধত হলে সবাই তাকে আটকে ফেলে। এসময় সুমনকেও কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীরা চড়-থাপ্পর দেয়।
মারধরের ঘটনা স্বীকার করে সহায়ক কর্মচারী হিসেবে কর্মরত মো. সুমনুজ্জামান সুমন বলেন, ‘তেমন কিছুই না। এই সামান্য বিষয় যে এতোদূর গড়াবে, আমি ভাবিনি। একটা ভুল বুঝাবুঝিতে মানিককে ছোট ভাই হিসেবে চড় মেরেছিলাম।’
সহায়ক কর্মচারী হিসেবে কর্মরত মো. সুমনুজ্জামান সুমন বলেন, ‘আমি মানিককে ছোট ভাই হিসেবে চড় দিয়েছিলাম।’ কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাদের সঙ্গে আগের এক ছিনতাইয়ের মামলার ঝামেলা রয়েছে বলেও স্বীকার করেন সুমন।
সমাধান করতে গিয়ে সুমনকে সর্তক করে দিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুল হক খান বলেন, ‘যে হিসেবেই চড় মারুন না কেন, লিখিত অভিযোগ করলে এর পরিণতি অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে। (ছাত্রলীগ ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির উল্লেখ করে) এই যে নেতাফেতা নিয়ে আসছেন, এরা কিছুই করতে পারবে না।’ তবে পরে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে প্রক্টরের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।