বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমবে-বাড়বে

প্রকাশ: ২০১৭-০৬-০১ ১৬:৩৯:৪০


????????????????????????????????????
????????????????????????????????????

জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি তার জীবনের ১১তম বাজেট উপস্থাপন করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টানা নবমবারের মতো বাজেট দিচ্ছেন সাবেক এই ঝানু আমলা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের এক বিশেষ সভায় এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তিনি চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটও পেশ করেছেন।

আগামী বাজেটে যেসব পণ্যের উপর শুল্ক প্রত্যাহার ও শুল্ক কমানো হয়েছে সেসব পণ্যের দাম কমবে। আর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বাড়বে অনেক পণ্যের দাম।

যেসব পণ্যের দাম কমবে:
আমদানি করা সাবান, শ্যাম্পু, জেল, তেল, টাইলস, সিরামিক পণ্য, টয়লেট সামগ্রী, রান্নাঘরের সামগ্রী, তাস, রেডিও ক্যাসেট প্লেয়ার, সব ধরনের পার্টিক্যাল বোর্ড, ওরিয়েন্টেড স্ট্রান্ড বোর্ড, ফাইবার বোর্ড, হার্ডবোর্ড, প্লাইউড দরজা, জানালা, ফাইবারযুক্ত পেপার ও পেপার বোর্ড, করোগেডেপ পেপার, পেপার বোর্ডে তৈরি বাক্স, কার্টন, বস্তা, ব্যাগ, ছাপানো পণ্যসামগ্রী ইত্যাদি।

যেসব পণ্যের দাম বাড়বে:
মিষ্টি বিস্কুট, ওয়েফার, পটেটো চিপস, হাত-নখ-পায়ের প্রসাধন সামগ্রী, প্লাস্টিকের বাক্স, পলিমারের বস্তা, সিলিং ফ্যান, দেয়াল ফ্যান, জুতা তৈরির উপকরণ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ব্যাটারি, রঙিন টেলিভিশন, টেলিভিশনের পার্টস, সিমকার্ড, ব্রাশ, আমদানি করা শুটকি মাছ, আপেল, আঙুর, জিরা, এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি, চকলেট, জ্যাম, জেলি, ফলের রস, শিশুখাদ্য, বিট লবন, সিমেন্ট, সালফিউরিক অ্যাসিড, টুথপেস্ট, ডিটারজেন্ট, দিয়াশলাই, মশার কয়েল, অ্যারোসল, চামড়া ও কাপড়ের তৈরি ব্যাগ, স্যুটকেস, শপিং ব্যাগ, হাতব্যাগ, পশমি কম্বল, ফেব্রিক্স, আসবাবপত্র, কাচের আয়না, হীরা, জুয়েলারি, ইমিটেশনের গহনা, শেভিং রেজর।

নতুন আইনে আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত প্রায় তিন হাজারের অধিক পণ্য ও সেবা ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। ফলে ওইসব পণ্যের দাম কমবে।

ভ্যাট অব্যাহতি পাওয়া পণ্যগুলো হলো- জীবন্ত ঘোড়া, গাধা, খচ্চর ও ঘোটক। জীবন্ত গবাদি পশু, ভেড়া ও ছাগল; জীবন্ত পাখিসমূহ। আড়াই কেজি পর্যন্ত গবাদি পশুর মাংস, শূকরের মাংস, ভেড়া বা ছাগলের মাংস, ঘোড়া, গাধা, খচ্চরের মাংস, হাঁস-মুরগির মাংস (টিনজাত ব্যতীত); জীবন্ত মাছ, আড়াই কেজি পর্যন্ত তাজা, টিনজাত অথবা হিমায়িত মাছ; আড়াই কেজি পর্যন্ত মোড়ক বা টিনজাত ব্যতীত কাঁটা ছাড়ানো মাছ ও মাছের মাংস, শুকনা, লবণাক্ত মাছ; খোলসযুক্ত বা খোলস ছাড়ানো শামুকজাতীয় প্রাণী।

প্যাকেটকৃত তরল দুধ, পনির, মাঠা; পাখির ডিম, মধু, আলু, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, লিকস এবং অন্যান্য এ জাতীয় শাকসবজি; বাঁধাকপি, ফুলকপি, মাথাযুক্ত ব্রকলি, কোহিলাভি, কেইল; লেটুস, চিকোরি, গাজর, শালগম, সালাদ বিটমূল, স্যালসিফাই, সেলেরিয়াক, মুলা, শিম্বারকার শাকসবজি, সব ধরনের শাকসবজি, নারিকেল, কাজু বাদাম, সুপারিসহ ৫৪৯টি পণ্য।

সব প্রকার কলা, খেজুর, ডুমুর, আনারস, পেয়ারা, আম, গাব, লেবুজাতীয় ফল, আঙ্গুর, তরমুজ, আপেল, নাশপাতিসহ যেকোনো ফল; গোলমরিচ, ভ্যানিলা, দারুচিনি, লবঙ্গ, জায়ফল, জৈত্রী, এলাচ, মৌরী, ফেনেল, ধনিয়া, জিরা, আদা, জাফনার, হলুদ, তেজপাতা, কারি, মসলা, গম, মেসলিন; রাই, বার্লি, জই, ভুট্টা, ধান, সব প্রকার চাল, মুড়ি, সোরঘাম শস্য, বাজরা, ক্যানারাই বীজ।

ময়দা, আটা, চাল, গম, ভুট্টার তৈরি সুজি, সয়াবিন। চীনা বাদাম, তিসি, স্বর্ষপ, সূর্যমুখী ফুলের বীজ, অন্যান্য তেল, লেকোস্ট সীম, সামুদ্রিক আগাছা এবং অন্যান্য সমুদ্র শৈবাল, আখ, চালের কুড়ার তেল, চিনি ও আঁখের গুড়, চোলাইন, সব ধরনের লবন ইত্যাদি। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনকে নতুন মূসক কোনোভাবেই প্রভাবিত করবে না।

দেশের অভ্যন্তরে সকল অস্থায়ী হোটেল, রেস্তোরাঁয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহে মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যেসব হোটেল, রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়া করে তাতেও মূসক দিতে হবে না। ফলে এসব হোটেলে খেলে খরচ বাড়বে না।