অর্থমন্ত্রীকে জেদ না ধরার আহ্বান সংসদে
প্রকাশ: ২০১৭-০৬-১২ ১৬:৫৪:১৯
মানুষের দাবি অনুযায়ী ব্যাংকের বাড়তি আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সরকার দলীয় এমপি আবদুল মান্নান অর্থমন্ত্রীকে জেদ না ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী সিলেটে বলেছেন, তিনি আবগারি প্রত্যাহার করবেন না। মাননীয় অর্থমন্ত্রী এটা জেদাজেদির বিষয় নয়। ব্যাংক আমানতের ওপর বর্ধিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে দয়া করে জেদ ধরবেন না। এখানে জেদ ধরার বিষয় নেই। আওয়ামী লীগ মানুষের রাজনীতি করে। মানুষের চাওয়া পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। মানুষ এ শুল্ক চায় না। প্রায় সব সংসদ সদস্য বর্ধিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতি করে, এটাও মাথায় রাখা প্রয়োজন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে সোমবার প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রীর উদ্দেশে আবদুল মান্নান বলেন, অর্থমন্ত্রী গত ১ জুন ঘোষিত বাজেটে ব্যাংক গ্রাহকদের ওপর বাড়তি হারে আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করার পর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা চলছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্ক আগেও ছিল। এবার তা বাড়ানো হয়েছে। প্রায় সব সংসদ সদস্য বর্ধিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। সংসদের বাইরেও এটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আগে যে আবগারি শুল্ক ছিল, তা ছিল। এখন মানুষ মনে করছে, বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার করা উচিত। এটি নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। অনেকে ব্যাংকে খোঁজ নিচ্ছেন আসলে কত রাখলে কত ফেরত পাওয়া যাবে। বর্ধিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করে এই সংশয় দূর করতে হবে।
আবদুল মান্নান আরও বলেন, সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরাও আবগারি শুল্ক বাড়ানোর এ সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক মনে করেছেন না। তারা বলছেন, শুল্ক বাড়লে লেনদেনের অবৈধ মাধ্যম উৎসাহিত হবে। জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলীয় কয়েকজন এমপিও অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারি দলের এই সাংসদ খাতভিত্তিক ভ্যাট বাস্তবায়ন, কৃষি গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান। একইসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ওনার আপার চ্যাম্বারে কোন না কোন সমস্যা হয়েছে। আট বছর ক্ষমতায় থাকতে না পেরে এ অবস্থা হয়েছে। ’