মাওয়া ঘাটে গাড়ির সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে
আপডেট: ২০১৭-০৬-২৩ ১৯:৩৮:৪৯
মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাট থেকে অন্তত দশ কিলোমিটার পথজুড়ে বাস-মিনিবাস, প্রাইভেট কারের সারি। দু:সহ যানজট। গাড়ির সারি কেবলই দীর্ঘ হচ্ছে। যানজট সর্বগ্রাসী হয়ে চলেছে। ঘণ্টাখানেক অন্তর শম্ভুক গতিতে কিছু গাড়ি ফেরিতে ওঠার জন্য অগ্রসর হচ্ছে। তবে ঘাটের কাছে গিয়ে পুলিশের ইশারায় থমকে থাকতে হচ্ছে। ফেরি আসছে, গাড়ি লোড করে আবার যাচ্ছে। তবে ফেরিতে যে গাড়ি লোড হচ্ছে সব ‘ভিআইপি’দের গাড়ি। একদিকে ফেরিতে ‘ভিআইপি’দের শত গাড়ি পারাপারের শশব্যস্ততা অন্যদিকে সাধারণের হাজার হাজার পরিবহন, প্রাইভেট কারের যানজট বেড়েই চলেছে ঢাকা মাওয়া মহাসড়কে। শিমুলিয়ায় তিনটি ফেরি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করার কথা ১৮টি রো রো ফেরির। তবে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কোন ফেরি চালায়নি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শেষ রাত থেকে পরিবহন ও প্রাইভেট কারে করে রাজধানীর লাখো মানুষের ঢল নামা শুরু হয় ফেরি ঘাটে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দু:সহ পরিস্থিতিতে পড়ে একরাশ হতাশা ঘিরে নেয় তাদের।
সকাল থেকে ফেরি পারাপার শুরু করলে কেবল মাত্র কথিত ‘ভিআইপি’দের গাড়িগুলো সুযোগ পায়। এভাবে বেলা দশটা অবধি কেবল ভিআইপি গাড়ি পার হয়। সাথে পুলিশ ও তাদের দালালদের ঈদ বখশিস দিয়ে কিছু সাধারণ গাড়ি পারাপারের সুযোগ পাচ্ছে।
ঢাকা থেকে ২৩ জেলায় পৌঁছানোর অন্যতম এই করিডোরে মাওয়া, পাটুরিয়া ফেরিঘাটের রোজাদার মানুষের এই দুর্দশা দেখার যেনো কেউ নেই। হাইওয়ে পুলিশের মাওয়ায় কর্মরত একজন ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর জানান, একদিকে ফেরির স্বল্পতা অপরদিকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে মাওয়া প্রান্তের ৩টি ঘাটেই সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। আর এই পথে ভিআইপি দের চাপ বেশী। কেউ সরকারি কর্মকর্তা, কেউ এমপি-মন্ত্রীর লোক। কেউ শ্রমিক নেতার লোক। এভাবে ভিআইপিদের গাড়ি পারাপারে প্রাধান্য পাচ্ছে। ফলে সাধারণ বাস, প্রাইভেট কার পারাপারের সুযোগ পাচ্ছে কম। একারণে যানজট বাড়ছে।
এদিকে যারা লঞ্চ ও স্পিড বোটে পদ্মা পার হচ্ছেন তাদেরকে যানজটের কারণে দীর্ঘ পথ হেঁটে ঘাটে পৌঁছাতে হচ্ছে।