রূপচর্চায় গোলাপজলের অজানা উপকারিতা

প্রকাশ: ২০১৭-০৭-১৩ ১১:২২:৪৭


Golap Jalপ্রকৃতি থেকে পাওয়া কয়েকটি বিশুদ্ধ উপাদানের মধ্যে গোলাপজল অন্যতম। প্রাচীনকাল থেকেই পবিত্রতা ও সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান হিসেবে গোলাপজল ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় স্বীকৃত একটি ওষুধ। গোলাপজল একদিকে যেমন ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে পরিষ্কার করে তেমনি এর উজ্জ্বলতাও বাড়িয়ে তোলে দ্বিগুণ। আসুন জেনে নেই রূপচর্চায় এর অজানা কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।

১. বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করতে গোলাপজল
গোলাপজল নিয়মিত ব্যবহারে চেহারায় বয়সের ছাপ সহজে পড়বে না। কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ-এর গুণ যা বয়সের সাথে সাথে বলিরেখা, চোখের নিচ ফুলে যাওয়া ও বয়সের ছাপের সমস্যাটি এড়াতে বেশ কার্যকরী।

২. ক্লান্ত চোখের স্বস্তি
অনেকক্ষণ একনাগাড়ে কম্পিউটার মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বা কাজ করতে করতে চোখ ব্যথা হয়, জ্বালাপোড়া করে বা ক্লান্তিভাব চলে আসে। সেক্ষেত্রে ঠাণ্ডা গোলাপজলে তুলা ভিজিয়ে চোখে দিলে স্বস্তি পাওয়া যাবে এবং চোখের ফোলাভাবও কমে যাবে।

৩. রুক্ষ-শুষ্ক চুলের সমাধান
অনেকেই চুল নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন, কারণ কারো চুল সিল্কি আবার কারো রুক্ষ। তারা অনায়াসেই গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে একটি ছোট বাটিতে গোলাপ জলের সাথে সামান্য গ্লিসারিন মিশিয়ে তার মধ্যে তুলা ভিজিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত মাথার চুলে ম্যাসাজ করুন তার পর ৩০ মিনিট ভাবেই রেখে পরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ঝকঝকে সুন্দর থাকবে।

৪. গরমের দিনে ত্বককে সতেজ ও কোমল রাখে
গোলাপজল ত্বককে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ও পুষ্টি দান করে। আর সাথে চেহারাটাও সতেজ দেখায়। সারাদিন সুযোগ পেলেই একবার গোলাপজলে মুখটা ধুয়ে নিতে পারেন।

৫. ফেশিয়াল টোনার হিসেবে কাজ করে
ফ্রিজে রাখা ঠাণ্ডা গোলাপজলে তুলা ভিজিয়ে পুরো মুখে লাগান। গোলাপজল মুখের লোমকূপ বন্ধ করতে সাহায্য করে যার ফলে মুখে ব্রণের সমস্যা থাকে না। তাই চাইলে অনেকেই নিয়মিত টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন গোলাপ জল।

৬. চুলের কন্ডিশনার হিসেবে গোলাপজল
চুলে শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে এক কাপ গোলাপজল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গোলাপজল দেয়ার পর চুলে পানি লাগাবেন না। এভাবেই চুল মুছে শুকিয়ে ফেলুন। চুলকে গভীর থেকে কন্ডিশনিং এবং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে গোলাপজলের ভূমিকা অনেক।

৭. ফেসিয়াল ক্লিনজার
যারা এখনো পার্লারে যেতে পারেননি তাদের চিন্তার কারণ নেই, কারণ ফেসওয়াস দিয়ে ভালো করে মুখ পরিস্কার করার পর একটি ছোট বাটিতে ১ টেবিল চামচ গোলাপজল নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। তাছাড়া গোলাপজল যে কোন ধরনের ত্বকের জন্য মাননসই।

৮. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে ত্বককে দেয় গোলাপি আভা
একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ বেসন আর তার সাথে গোলাপজল ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে গেছে।

৯. ব্রণের সমস্যাও দূর করে গোলাপজল
গোলাপজলে আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে। সেক্ষেত্রে একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস আর ১ টেবিল চামচ গোলাপজল মিশিয়ে তা পুরো মুখে দিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পানির ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুলতানি মাটির সাথে গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার লোমকূপ পরিষ্কার হবে, মুখের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর হবে এবং ব্রণের সমস্যা কমে যাবে।

প্রকৃতি থেকে পাওয়া কয়েকটি বিশুদ্ধ উপাদানের মধ্যে গোলাপজল অন্যতম। প্রাচীনকাল থেকেই পবিত্রতা ও সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান হিসেবে গোলাপজল ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় স্বীকৃত একটি ওষুধ। গোলাপজল একদিকে যেমন ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে পরিষ্কার করে তেমনি এর উজ্জ্বলতাও বাড়িয়ে তোলে দ্বিগুণ। আসুন জেনে নেই রূপচর্চায় এর অজানা কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।

  ১. বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করতে গোলাপজল গোলাপজল নিয়মিত ব্যবহারে চেহারায় বয়সের ছাপ সহজে পড়বে না। কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ-এর গুণ যা বয়সের সাথে সাথে বলিরেখা, চোখের নিচ ফুলে যাওয়া ও বয়সের ছাপের সমস্যাটি এড়াতে বেশ কার্যকরী।

২. ক্লান্ত চোখের স্বস্তি অনেকক্ষণ একনাগাড়ে কম্পিউটার মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বা কাজ করতে করতে চোখ ব্যথা হয়, জ্বালাপোড়া করে বা ক্লান্তিভাব চলে আসে। সেক্ষেত্রে ঠাণ্ডা গোলাপজলে তুলা ভিজিয়ে চোখে দিলে স্বস্তি পাওয়া যাবে এবং চোখের ফোলাভাবও কমে যাবে।

৩. রুক্ষ-শুষ্ক চুলের সমাধান অনেকেই চুল নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন, কারণ কারো চুল সিল্কি আবার কারো রুক্ষ। তারা অনায়াসেই গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে একটি ছোট বাটিতে গোলাপ জলের সাথে সামান্য গ্লিসারিন মিশিয়ে তার মধ্যে তুলা ভিজিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত মাথার চুলে ম্যাসাজ করুন তার পর ৩০ মিনিট ভাবেই রেখে পরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ঝকঝকে সুন্দর থাকবে।

৪. গরমের দিনে ত্বককে সতেজ ও কোমল রাখে গোলাপজল ত্বককে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ও পুষ্টি দান করে। আর সাথে চেহারাটাও সতেজ দেখায়। সারাদিন সুযোগ পেলেই একবার গোলাপজলে মুখটা ধুয়ে নিতে পারেন।

৫. ফেশিয়াল টোনার হিসেবে কাজ করে ফ্রিজে রাখা ঠাণ্ডা গোলাপজলে তুলা ভিজিয়ে পুরো মুখে লাগান। গোলাপজল মুখের লোমকূপ বন্ধ করতে সাহায্য করে যার ফলে মুখে ব্রণের সমস্যা থাকে না। তাই চাইলে অনেকেই নিয়মিত টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন গোলাপ জল।

৬. চুলের কন্ডিশনার হিসেবে গোলাপজল চুলে শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে এক কাপ গোলাপজল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গোলাপজল দেয়ার পর চুলে পানি লাগাবেন না। এভাবেই চুল মুছে শুকিয়ে ফেলুন। চুলকে গভীর থেকে কন্ডিশনিং এবং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে গোলাপজলের ভূমিকা অনেক।

৭. ফেসিয়াল ক্লিনজার যারা এখনো পার্লারে যেতে পারেননি তাদের চিন্তার কারণ নেই, কারণ ফেসওয়াস দিয়ে ভালো করে মুখ পরিস্কার করার পর একটি ছোট বাটিতে ১ টেবিল চামচ গোলাপজল নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। তাছাড়া গোলাপজল যে কোন ধরনের ত্বকের জন্য মাননসই।

৮. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে ত্বককে দেয় গোলাপি আভা একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ বেসন আর তার সাথে গোলাপজল ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে গেছে।

৯. ব্রণের সমস্যাও দূর করে গোলাপজল গোলাপজলে আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে। সেক্ষেত্রে একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস আর ১ টেবিল চামচ গোলাপজল মিশিয়ে তা পুরো মুখে দিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পানির ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুলতানি মাটির সাথে গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার লোমকূপ পরিষ্কার হবে, মুখের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর হবে এবং ব্রণের সমস্যা কমে যাবে।

সানবিডি/ঢাকা