১ লাখ টন চাল দেবে মিয়ানমার
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-১৮ ২২:৩৯:৩৬
প্রতি টন মাত্র ৪৪২ মার্কিন ডলার মূল্য ধরে বাংলাদেশের কাছে এক লাখ টন আতপ চাল রফতানি করতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার।
চাল রফতানির চুক্তি করতে ঢাকায় আসা মিয়ানমারের ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রোববার এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় দীর্ঘ বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার রাতেই চাল রফতানির বিষয়ে চুক্তির একটি খসড়া চূড়ান্ত করার বিষয়েও একমত হয়েছে দুই দেশ। বৈঠকে উপস্থিত ছিল এমন একটি দায়িত্বশীল সূত্র যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রমতে, মিয়ানমার মাত্র ৪৪২ ডলারে বাংলাদেশের কাছে চাল রফতানি করতে রাজি হওয়ায় এখন পর্যন্ত চুক্তিকারী যে কোনো দেশের তুলনায় মিয়ানমারের প্রস্তাবিত মূল্যই হচ্ছে সর্বনিন্ম। এর আগে কম্বোডিয়া বাংলাদেশের কাছে প্রতি টন চাল রফতানি মূল্য ধরেছিল ৪৫৩ মার্কিন ডলার। এ হিসাবে মিয়ানমারের রফতানি মূল্য কম্বোডিয়ার তুলনায় ১১ ডলার কম।
তবে রাতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বৈঠকে প্রতিনিধিত্বশীল কেউ এ বিষয়ে অফিসিয়াল বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
জানা গেছে, সফররত মিয়ানমারের দলটির সদস্যরা রোববার এ নিয়ে দিনব্যাপী বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে। সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব ছিলেন খাদ্য সচিব মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং মিয়ানমার সরকারের পক্ষে দেশটির রাইস ফেডারেশনের (এমআরএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. অং থান উ।
পরে সচিবালয়ের বৈঠক গড়ায় হোটেল সোনারগাঁওয়েও। সূত্রমতে, বৈঠক দীর্ঘসূত্রতায় গড়ানোর মূল কারণ হচ্ছে আমদানি চালের মূল্য নির্ধারণ জটিলতা। বাংলাদেশ চায় কম দরে। এর লক্ষ্যে আমদানিকৃত চালে সব ধরনের রফতানি শুল্ক পরিশোধ করে ৪২৫ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৪৪০ মার্কিন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার চেয়েছে তাদের প্রস্তাবিত দরে অটল থাকতে।
তারা বাংলাদেশের কাছে রফতানি মূল্য চেয়েছে প্রতি টন ৪৬০ মার্কিন ডলার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দরকষাকষির মাধ্যমে দু’দেশই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে একটা গ্রহণযোগ্য মূল্য স্তর নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।