ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা জালিয়াতিতে জড়িত ১২ জনকে কারাদণ্ড

আপডেট: ২০১৭-১০-২০ ১৯:২৩:৩০


duঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি ও ডিজিটাল জালিয়াতির মূল হোতা ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নেতাসহ তিনজনকে সিআইডিতে হস্তান্তর এবং ১২ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার পরীক্ষা শেষে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক ব্যক্তিদের প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী রয়েছেন। তারা জালিয়াত চক্রের অন্যতম হোতা।

‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার আগে থেকে তাদের খুঁজছিল সিআইডি। তারা হলেন- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মহিউদ্দিন রানা এবং ফলিত রসায়ন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বাকি ১২ ভর্তিচ্ছু হলেন- নুর মোহাম্মাদ মাহবুব, ফরহাদুল আলম রানা, ইশরাক হোসেন রাফি, আব্দুল্লাহ আল মুকিম, রিশাদ কবির, আসাদুজ্জামান মিনারুল, ইশতিয়াক আহমেদ, জয় কুমার সাহা, রেজওয়ানা শেখ শোভা, মাশুকা নাসরীন, তারিকুল ইসলাম ও নাসিরুল হক নাহিদ।

ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহীদ এলাহী গণমাধ্যমকে জানান, দণ্ড প্রদানকারীদের মাস্টার কার্ডের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সিমকার্ড ঢুকিয়ে কেন্দ্রের বাইরে যোগাযোগ করে উত্তর সংগ্রহের সময় ধরা হয়। তাদের কান থেকে অতিক্ষুদ্র তারবিহীন হেডফোন পাওয়া যায়। পরে আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করলে আটক ব্যক্তিদের প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এবার ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের এক হাজার ৬১০টি (বিজ্ঞানে-১১৪৭, বিজনেস স্টাডিজে-৪১০, মানবিকে ৫৩টি) আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৯৮ হাজার ৫৪ জন। অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা ৬১ জন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৫৩ ও ক্যাম্পাসের বাইরে ৩৩টি স্কুল-কলেজসহ ৮৬টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।