শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ বন্ধ করার কে : হাইকোর্ট
প্রকাশ: ২০১৭-১১-০৯ ২১:২০:৫৬
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থাকতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ বন্ধ করার কে এমন প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রাজধানীর লেকহেড গ্রামার স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের চ্যালেঞ্জে দায়ের করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেন। সেই সঙ্গে শিগগিরই কেন স্কুল খুলে দেয়া হবে না এবং বন্ধের আদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত।
শিক্ষাসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী রোববার (১২ নভেম্বর) এ রুলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করবে কেন? তারা অভিযোগ দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো দেখবে। এখানে (ওই প্রতিষ্ঠানে) ১১শ’ এর ঊর্ধ্বে শিক্ষার্থীর আছে তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে? হঠাৎ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করবে কেন দেশে তো যুদ্ধ লাগেনি!
রিটের পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার আখতার ইমাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর আগে গত ৬ নভেম্বর ধানমন্ডি ও গুলশানের দুটি শাখাসহ লেকহেড স্কুলের সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সালমা জাহান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, এ প্রতিষ্ঠানটি সরকারের অনুমোদন নেয়নি।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্রবাদী সংগঠন সৃষ্টি, জঙ্গি কার্যক্রমের পৃষ্ঠপোষকতাসহ স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, এ প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তা ও পৃষ্ঠপোষক রেজোয়ান হারুন সম্প্রতি লন্ডন থেকে ঢাকায় এসে লাপাত্তা হয়ে যান। এখন পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেফতার বা খুঁজে পায়নি। রেজোয়ানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও মদদের অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে রেজোয়ান হারুনকে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ধানমন্ডির ৬/এ সড়কে প্রতিষ্ঠিত হয় লেকহেড গ্রামার স্কুল। প্রতিষ্ঠানটির গুলশানে আরও দু’টি শাখা রয়েছে।