ইসলামাবাদে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা তলব

আপডেট: ২০১৭-১১-২৬ ১৩:২৬:১৮


pakপাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সংঘাত ঠেকাতে অবশেষে সেনাবাহিনীকে তলব করেছে দেশটির সরকার। ইসলামপন্থীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ শনিবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে দেড় শতাধিক বিক্ষোভকারীকে।

এ অবস্থায় শনিবার রাজধানী ইসলামাবাদ রক্ষায় সেনাবাহিনী তলব করা হয়েছে। যদিও রোববার সকালেও সড়কে কোনো সেনাসদস্য দেখা যায়নি।

তবে বিক্ষোভ থেমে নেই। রাজধানী ছাড়াও লাহোর, করাচি, গুজরানওয়ালা, ফয়সলাবাদসহ আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হচ্ছে। এসব শহরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলছে।

এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১১১ সেনা ব্রিগেডকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত রাজধানীতে মোতায়েনের জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসীকে ফোন করে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া জাতীয় স্বার্থে পরিস্থিতি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ মোকাবিলা করার অনুরোধ করেছেন। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এক টুইটবার্তায় এ কথা জানিয়েছেন।

নিরাপত্তা বাহিনী রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ইসলামপন্থীদের একটি অবস্থান কর্মসূচি ছত্রভঙ্গ করে দিতে গেলে এ সংঘাত হয়। তাদের দুই সপ্তাহের অবস্থান ধর্মঘটে ইসলামাবাদে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভকারীরা ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে দেশটির আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন। আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথে ইসলামবিরোধী বাক্যজুড়ে দিয়েছেন বলে দাবি করে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে লাব্বায়েক।

ডন জানায়, শনিবার সকাল থেকে অভিযান শুরু হয় এবং সন্ধ্যার আগে তা স্থগিত করা হয়। প্রথমে হাজারখানেক বিক্ষোভকারীকে সরাতে অভিযান শুরু হলেও পরে আরও কয়েক হাজার লোক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেন।

করাচি-লাহোরসহ অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এতে সারা দেশ কার্যত অচল হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন দেশজুড়ে বিক্ষোভ করে। তারা অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রতি সংহতি জানায়। বিক্ষোভকারীরা আইনমন্ত্রীর বাসায় হামলা চালান।

সরকারনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, আকাশে ধোঁয়া উড়ছে আর রাস্তায় আগুন জ্বলছে। ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অগ্রসর হন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। মুখোশ পরা বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দিকে ইটের সুড়কি নিক্ষেপ করে।

তেহরিক-ই-লাব্বায়েক দলের মুখপাত্র ইজাজ আশরাফি বলেন, আমরা সংখ্যায় হাজার হাজার। আমরা স্থান ছাড়ব না। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব।’