বাজার দখল করছে অবৈধ স্বর্ণ : টিআইবি
প্রকাশ: ২০১৭-১১-২৬ ২১:৩৭:৫৭
অবৈধভাবে দেশের বাইরে থেকে আসা স্বর্ণালঙ্কার বাংলাদেশের স্বর্ণবাজার ক্রমশ দখল করে ফেলেছে। স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কারের মান যাচাই, ক্রেতা ও বিক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণ এবং স্বর্ণ শিল্পী বা শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকরণে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থার ঘাটতি রয়েছে। এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই পরিস্থিতির তথ্য পেয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
রোববার রাজধানীতে সংগঠটির কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের স্বর্ণখাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি সুষ্ঠু স্বর্ণ আমদানি-নীতির অনুপস্থিতি ও স্বর্ণখাতের ওপর সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে। স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কারের মান এবং স্বর্ণবাজার ব্যবসায়ীদের দ্বারা একচেটিয়াভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সম্ভাবনাময় খাত হওয়া সত্ত্বেও উৎসাহমূলক পদক্ষেপ গৃহীত না হওয়ায় বাংলাদেশে রফতানি শিল্প হিসেবে স্বর্ণখাতের বিকাশ হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ের মধ্যে এই গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল স্বর্ণখাতের আইনি কাঠামো পর্যালোচনাসহ বিদ্যমান বহুমুখী সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণ, স্বর্ণখাতকে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থার অধীনে আনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রণয়ণ।
গবেষণায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, দুর্নীতি দমন কমিশন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাক্ষাৎকার গৃহীত হয়েছে। এছাড়া, প্রাসঙ্গিক আইন, বিধিমালা, আদেশ, নির্দেশনা ও দলিলাদিসহ বই, প্রবন্ধ, গবেষণা ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন পর্যালোচিত হয়েছে।
অন্যদিকে, স্থল ও বিমানবন্দরের প্রতিটি আগমন ও বহির্গমন দরজায় সর্বাধিক প্রযুক্তির স্ক্যানার ও আর্চ-ওয়ে স্থাপন এবং শুল্ক কর্মকর্তার উপস্থিতি নিশ্চিতসহ স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর যেমন- বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এবং সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, এনবিআর, দুদক ইত্যাদির মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিতের সুপারিশ করেছে টিআইবি।