ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেয়র পদে উপনির্বাচন

আপডেট: ২০১৭-১২-০৪ ২১:৪৮:৪৩


dncc_ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবারও নির্বাচন পাচ্ছেন নগরবাসী। আনিসুল হকের মৃত্যুর কারণে এ উপনির্বাচন হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে মেয়রের পদ শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির পরই উপনির্বাচনের আয়োজন শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। সেই অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট হবে। আইন অনুযায়ী, এবার মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রংপুর, গাজীপুর, সিলেট, খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ভোট গ্রহণ করবে ইসি। এর সঙ্গে যুক্ত হল ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচন। এটিকে ইসির জন্য নতুন অগ্নিপরীক্ষা বলেও মনে করেন তারা।

এ বিষয়ে রোববার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে যেদিন থেকে মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করবে, সেদিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, পদ শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি হাতে পেলে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, স্থানীয় সরকারের সব পর্যায়ের নির্বাচনে (চেয়ারম্যান, মেয়র পদে) দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে। ডিএনসিসিতেও প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির কর্মকর্তারা আরও জানান, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ডিএনসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনিসুল হক বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার মাত্র আড়াই বছরের মাথায় ৩০ নভেম্বর আনিসুল হক লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান। শনিবার বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন তিনি।

স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ এর ১৬ ধারা অনুযায়ী, মেয়র বা কাউন্সিলরের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের আগে যদি কোনো পদ শূন্য হয়, তবে ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে উপনির্বাচন হবে। উপনির্বাচনের বিজয়ী বাকি মেয়াদে মেয়র বা কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

তারা আরও জানান, আনিসুল হকের মৃত্যুর দিন ৩০ নভেম্বর থেকে ৯০ দিন, অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেয়র পদে উপনির্বাচন শেষ করতে হবে। কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে অন্তত ৪৫ দিন হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে।

মেয়র নির্বাচনের সঙ্গে সেসব ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সেখানে এখনই কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে কিনা, তা বলা যাচ্ছে না। কারণ বিষয়টি জটিল। এ ১৮টি ওয়ার্ডের ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এখন ভোটার তালিকার সিডি নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ কাজ শেষ হলে কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। পরে কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।

এর আগে রোববার বেলা ১১টা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করে ইউএনডিপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে চার কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, নারী ভোটারদের কীভাবে আরও সচেতন করা যায় এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও আধুনিকায়ন করা যায়, সেসব বিষয়ে কারিগরি সহযোগী করার বিষয়ে ইউএনডিপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।